মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কয়েকজনের দেহ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩! ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও এক দেহের সন্ধান মিলেছে। সম্ভবত দেহটি মুর্শিদাবাদের ঠিকা শ্রামিক গৌতম মন্ডলের। এমনটাই দাবি গৌতমের আত্মীয়দের। বৃহস্পতিবার সকালে ধ্বংসস্তুপের নিচে শরীরের সামান্য অংশ দেখতে পাওয়ার পরই দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে NDRF এবং কলকাতা পুলিসের কর্মীরা। গ্যাসকাটার দিয়ে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে দেহটি বের করে আনার পক্রিয়া শুরু হয়েছে। উদ্ধার করা দেহটি পাঠানো হবে এসএসকেএমে, সেখানেই হবে ময়না তদন্ত। বুধবারই মেট্রোর ঠিকা শ্রমিক প্রণব দে-র দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩। তবে ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কয়েকজনের দেহ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - মেট্রোর কাজ চলার সময়ে মনে হত যেন ভূমিকম্প হচ্ছে: মাঝেরহাটে গিয়ে বললেন মমতা
মঙ্গলবার সেতুর ধ্বংসাবশেষের ফাটল থেকে ভেসে আসছিল আর্তনাদ। শোনা যাচ্ছিল, বাঁচার আর্তিও। সেই জায়গা থেকেই বুধবার উদ্ধার হয় একটি মৃতদেহ। মঙ্গলবার দুর্ঘটনার পরই ধ্বংসাবশেষের তলায় অনেকেই আটকে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে সেতুর নিচে অস্থায়ীভাবে ছিলেন মেট্রোর নির্মাণশ্রমিকরা। বুধবার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয় একজনের দেহ। দেহটি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রণব দে-র। তিনি মেট্রোর ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রণববাবুর পরিবার। মঙ্গলবার মারা গিয়েছিলেন বেহালার শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগ।
মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর থেকেই দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল মুর্শিদাবাদের তেঁতুলিয়ার মণ্ডল বাড়িতে। সেতু ভাঙার পর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না গৌতম মন্ডলের। মুর্শিদাবাদের গৌতমবাবু তাঁর ছেলেকে নিয়ে কলকাতা এসেছিলেন রান্নার কাজে। থাকতেন মাঝেরহাট ব্রিজের ঠিক নিচেই। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হল গৌতমের দেহ।