‘ঘোলা জলে মাছ ধরছেন অনেকে’, জিডি বিড়লাকাণ্ডে নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর
‘স্কুলে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।’ তবে ক্ষিপ্ত অভিভাবকদের উদ্দেশেও বার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘সব শিক্ষক খারাপ নন, তবে কিছু তো খারাপ থাকবেই। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিস সঠিক পথে তদন্ত করবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি: জিডি বিড়লাকাণ্ডে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। সংহতি দিবসের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘যা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ঘোলা জলে অনেকে মাছ ধরছেন। তারা এটাই চাইছে, যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে না পারে। শিশুটিকে পড়াশোনা করতে দিন।’
সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।’ তবে ক্ষিপ্ত অভিভাবকদের উদ্দেশেও বার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘সব শিক্ষক খারাপ নন, তবে কিছু তো খারাপ থাকবেই। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিস সঠিক পথে তদন্ত করবে।'
আরও পড়ুন: ‘কোনও দিন কোনও নির্বাচনে না জিতেই নেতা হয়েছেন’, মুকুলকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
কিন্তু ঘটনাচক্রে সেদিনই জিডি বিড়লা স্কুলে গিয়ে ‘রাজনীতি’করেন বিজেপিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সকালেই স্কুলের যান তিনি। তাঁর আগমনে প্রাথমিকভাবে অসন্তুষ্ট হন বিক্ষোভকারী অভিভাবকরাই। কিন্তু তারপরও স্কুলে থেকে যান তিনি। বিকালে ফের স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিস বাধা দিলে গেটে মাথা ঠোকেন তিনি। তাঁকে ঘিরে শুরু হয় আরও এক প্রস্ত নাটক। সেদিন রাতভর স্কুলের সামনেই অবস্থান করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতা খুদে পড়ুয়ার বাবা-মায়ের অনুরোধে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিডি বিড়লার প্রিন্সিপালকে শোকজ করল শিশুরক্ষা অধিকার কমিশন
কিন্তু শিক্ষাঙ্গণে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবস্থান কোনওমতেই মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা। এদিন নাম না করে সেদিনের ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘বিপদে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু তা নিয়ে কখনও রাজনীতি করি না। অনেকে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।’এই ইস্যুটি নিয়ে রাজনীতি না করার বার্তা দেন তিনি।