Mamata Banerjee: মালবাজারকাণ্ডের পর ফের ৩ দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী

দশমীর সন্ধ্যে আচমকাই হড়পা বান আসে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। মালবাজারে প্রাণ হারিয়েছেন শিশু-সহ ৮ জন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করবেন বলে খবর।

সুতপা সেন: ব্যবধান মাস তিনেকের। দশমীতে মালবাজারে বিপর্যয়ের পর উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী। ক'দিনের সফর? ৩ দিনের। ১৭ অক্টোবর, সোমবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে পৌঁছবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পরের দিন, ১৮ অক্টোবর বৈঠকে করবেন মালবাজারে। ১৯ অক্টোরব শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনী। ২০ অক্টোবর কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।

তখন প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। দশমীর সন্ধেয় আচমকাই হড়পা বান আসে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেকে আবার সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নদীতে স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে,পাড়ের দিকে এগোতে পারছিলেন না তাঁরা! মালবাজারে প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শিশু-সহ ৮ জনের। স্রেফ শোকপ্রকাশ করা নয়, হড়পা বানে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে। এবার নিজেই যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে।

নবান্ন সূত্রে খবর, বিসর্জনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে ঘাটে যেন বেশি লোকের জমায়েত না হয় এবং কেউ যাতে নদীর বেশি গভীরে চলে না যান, তা নিশ্চিত করতে এলাকাভিত্তিক নজরদারি চালাতে হবে। শুধু তাই নয়, মাল নদীতে হড়পা বানের আগাম সতর্কবার্তাও ছিল। তাহলে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। মালবাজার কাণ্ডে নদী বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক।

এদিকে ৮ অক্টোবর, শনিবার সকাল থেকে আকাশের মুখ ছিল ভার। এরপর সন্ধ্যা নামতেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় পাহাড় ও সমতলে। ফলে জল বাড়তে থাকে মাল, নেল ও নেওড়া নদীতে। ওদলাবাড়িতে গিস নদীতে জলে প্লাবিত জাতীয় সড়কও। তবে মাল নদীর ভয়াবহতাই সবচেয়ে বেশি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। নদী লাগোয়া এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বস্তুত, মাল নদীতে ফের হড়পা বান এসেছে বলেও জানিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।