Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৯০ শতাংশ বকেয়া মেটাল রাজ্য
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীভর্তিতে অনীহার অভিযোগ ওঠে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। রাজ্য বকেয়া না দেওয়াতেই রোগীভর্তিতে অনীহা বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
প্রবীর চক্রবর্তী: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালের বকেয়া মেটাল রাজ্য। সূত্রের খবর, বেশিরভাগ বকেয়া-ই মিটিয়ে দিয়েছে রাজ্য় সরকার। ৯০ শতাংশ বকেয়া মিটিয়েছে রাজ্য। চলতি আর্থিক বছরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ২৫০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্য়েই ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীভর্তিতে অনীহার অভিযোগ ওঠে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। বার বার অভিযোগ করেন রোগীর পরিবার পরিজনেরা। বেসরকারি হাসপাতালগুলিও দায় চাপায় সরকারের উপর। রাজ্য বকেয়া না দেওয়াতেই রোগীভর্তিতে অনীহা বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পালটা দাবি করে যে, বিল চেক না করেই কীভাবে টাকা দেবে সরকার? অবশেষে বকেয়া ৯০ শতাংশ-ই রাজ্য সরকার মিটিয়ে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ধাঁচে এ রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ মেলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়ে নিতে পারেন নাগরিকরা। কিন্তু এই কার্ড দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বার বার। এমনকি, রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা মুখে বললেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে। আর ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও লিখিত দিচ্ছে না। ফলে রেফারের কোনও প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি, হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী 'হেল্প ডেস্ক' আছে ঠিকই। কিন্তু তার নিয়ন্ত্রণ হাসপাতালের হাতেই! ফলে কাকে জানানো হবে সমস্যার কথা? তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন। পাশাপাশি, সরকারের কাছে কী করে পৌঁছাবে প্রমাণ? তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সমস্যা সমাধানে দায়ের হয় মামলা।
এই পরিস্থিতিতে বার বার কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেন। বলেন, 'অনেক নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড অবহেলা করছে। সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। না হলে তো তাদের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে'। একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়। কারও যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থেকে থাকে, তাহলে আধার কার্ডের প্রমাণে হাসপাতালেই কার্ড বানিয়ে দেওয়ারও নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর।