ফের কম্পালসরি ওয়েটিংয়ের কোপে সরকারি অফিসার
আরও একজন অফিসারকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। স্বরাষ্ট্র দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি বাসুদেব দাসকে প্রথমে পাঠানো হয় প্রাণিসম্পদ দফতরে। কিন্তু যুগ্ম সচিবের পদ খালি না থাকায়, তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কর্মীদের চাকরি সংক্রান্ত আইন না মানারও।
আরও একজন অফিসারকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। স্বরাষ্ট্র দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি বাসুদেব দাসকে প্রথমে পাঠানো হয় প্রাণিসম্পদ দফতরে। কিন্তু যুগ্ম সচিবের পদ খালি না থাকায়, তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কর্মীদের চাকরি সংক্রান্ত আইন না মানারও।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে একটি মামলায় দফতরের আইনি কাজকর্মের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব বাসুদেব দাসকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হতে চেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না বাসুদেব দাস। অভিযোগ, যুগ্ম সচিবকে ভর্তসনা করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। পরদিনই যুগ্ম সচিব স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলে জল অনেক দূর গড়ায়। মহাকরণ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীও ওই অফিসারের আচরণে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন। তড়িঘড়ি তাঁকে সমাজকল্যাণ দফতরে বদলি করা হয়। কিন্তু যেতে রাজি না হওয়ায় বাসুদেববাবুকে বদলি করে দেওয়া হয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরে।
সে দফতরে যোগ দিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরে যুগ্ম সচিবের কোনও পদও খালি নেই। এরপরই স্বরাষ্ট্র-(কর্মীবর্গ) দফতর তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানোর নির্দেশিকা জারি হয়। প্রশ্ন উঠেছে বাসুদেববাবুর বদলি নিয়ে। কারণ, সরকারি চাকরি সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, অবসরের ছ`মাস আগে কাউকে বদলি করা যায় না। বাসুদেববাবুর আর পাঁচ মাস চাকরি, সেপ্টেম্বরে অবসর নেবেন। সে ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ কেন মানা হল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।