প্রচারের শেষবেলায় সন্ত্রাসের অভিযোগ ওড়ালেন মমতা, নাম না করে টার্গেট রূপা
বিরোধীরা সরব হলেও, পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি,প্ররোচনা সত্ত্বেও, তৃণমূল কর্মীরা সংযত রয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার মহামিছিল থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে টার্গেট করলেন রূপা গাঙ্গুলিকেও।
ব্যুরো: বিরোধীরা সরব হলেও, পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি,প্ররোচনা সত্ত্বেও, তৃণমূল কর্মীরা সংযত রয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার মহামিছিল থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে টার্গেট করলেন রূপা গাঙ্গুলিকেও।
সুকান্ত সেতু থেকে পথ চলা শুরু । বালিগঞ্জ, হাজরা হয়ে গোপালনগরে এসে পুরভোটের প্রচার শেষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হাঁটলেন প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা। বক্তব্য কিন্তু রেখেছেন মাত্র একবারই মিছিলের শুরুতে। তারপর দক্ষিণ কলকাতার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত মানুষের মাঝে। মিছিল শেষের কথা ছিল হাজরা মোড়ে। কিন্তু , মুখ্যমন্ত্রী মিছিল শেষ করলেন গোপাল নগরে। হঠাত্ মিছিলের শেষ হাজরা থেকে গোপাল নগরে কেন? এমনি নাকি অন্য কোনও কারণ?
ফেরা যাক একটু ফ্ল্যাশব্যাকে । পয়লা বৈশাখের আগের দিন গোপালনগরে রূপা গাঙ্গুলির সভা ঘিরে ঘটে গিয়েছিল ধুন্ধুমার।
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে সেই রূপা প্রসঙ্গই।
তবে, কী ভোটের আগে গ্রেফতার হতে পারেন রূপা? সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। কিন্তু, এদিনও তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিল বিজেপি।
ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে,টালা থেকে টালিগঞ্জ মুর্হু মুহু উঠছে সন্ত্রাসের অভিযোগ।
তবে, কোনকিছুই আমল দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের সন্ত্রাসের অভিযোগ ওড়ালেন স্ট্রেট ব্যাটে।
ভোটপ্রচারের শেষদিন মিছিল দেখে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতারা। খুশি দলের কর্মীরাও।কিন্তু, পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে কি? এবার থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ফলে ভোটের দিন কোনও ঘটনা ঘটলে দায় বর্তাবে রাজ্যপ্রশাসনের ওপরই । তাই পুরভোট সন্ত্রাসমুক্ত করাটাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।