আর্থিক নিয়ন্ত্রণের নামে রাজ্যে ঘুরপথে রাষ্ট্রপতি শাসন করতে চাইছে কেন্দ্র: মমতা
আর্থিক নিয়ন্ত্রণের নামে রাজ্যে ঘুরপথে রাষ্ট্রপতি শাসন করতে চাইছে কেন্দ্র। অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে সম্প্রতি পৌছেছে নীতি আয়োগের চিঠি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জোর করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের আর্থিক দায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খরচে নজরদারি চালাতে ট্রেজারিতে পাহারাদার বসানোর চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
ওয়েব ডেস্ক: আর্থিক নিয়ন্ত্রণের নামে রাজ্যে ঘুরপথে রাষ্ট্রপতি শাসন করতে চাইছে কেন্দ্র। অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে সম্প্রতি পৌছেছে নীতি আয়োগের চিঠি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জোর করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের আর্থিক দায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খরচে নজরদারি চালাতে ট্রেজারিতে পাহারাদার বসানোর চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
আর্থিক দাবি দাওয়া নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আঘাতের অভিযোগে একাধিকবার কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তুললেন গুরুতর অভিযোগ।
আরও পড়ুন- মমতার কাছে চরম বকুনি খেল বিধাননগর পুরসভা
নবান্নে নীতি আয়োগের তরফে একটি চিঠি পৌছেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সামাজিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমিয়ে ২৮ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে রাজ্যের আর্থিক দায় অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে খরচে নজরদারি চালাবেন নীতি আয়োগের CEO। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে খরচ তদারকির জন্য রাজ্যের ট্রেজারির ওপর নজরদারি চালাবে নীতি আয়োগ। একে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলেই মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি। নিয়মরক্ষার খাতিরে বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্য, কিছু ছোট রাজ্য ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত কার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'কী করবেন, আর কী করবেন না!' কাউন্সিলরদের দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর
এখানেই শেষ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পরবর্তীকালে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় নাক গলানোর ভাবনাও রয়েছে কেন্দ্রের। নীতি আয়োগের সিদ্ধান্তের মোকাবিলায় অন্য রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী।