মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র হল অকাল ভোটের জল্পনা
মহারাষ্ট্র নিবাস হলে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার সম্ভাবনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে প্রত্যাশিতভাবেই সরগরম হয়ে উঠল জাতীয় রাজনীতি। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূল শরিকি টানাপোড়েন শুরু হয়েছে নতুন করে।
মহারাষ্ট্র নিবাস হলে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার সম্ভাবনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে প্রত্যাশিতভাবেই সরগরম হয়ে উঠল জাতীয় রাজনীতি। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূল শরিকি টানাপোড়েন শুরু হয়েছে নতুন করে।
গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৪-র বদলে ২০১৩ সালেই লোকসভা ভোট হতে পারে। এ নিয়ে দিল্লিতে একটি রাজনৈতিক দলের বৈঠক করার খবর তাঁর কাছে রয়েছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তর্বর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, "গণতন্ত্র আর ভোটকে কেউ খাটো করে দেখবেন না"।
প্রত্যাশিতভাবেই ইউপিএ জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর এই মন্তব্যে উল্লসিত প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, "কংগ্রেস সরকারের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই"। পাশাপাশি ২০১৩ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ২০১২ সালেই অন্তর্বর্তী সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করে ফেলতে কংগ্রেসের শরিক দলগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন শাহনওয়াজ হুসেন। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এআইসিসি`র মুখপাত্র নেতা রশিদ আলভি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে। এই দাবির প্রতিধ্বনী শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রর মুখেও। তাঁর মতে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে সাংগঠনিক শক্তির বিস্তার ঘটনাতেই অকাল ভোটের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ সেলিম তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যকে `ইউপিএ-টু সরকারের উপর চাপসৃষ্টির কৌশল` বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁর দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই অকাল ভোটের জুজু দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে, কেন্দ্রের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি-সহ জন সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবিলায় ব্যর্থতা সত্ত্বেও কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকবেন তৃণমূল নেত্রী। মাঝেমাঝে 'ঝগড়া' করলেও ইউপিএ জোট ছাড়বেন না তিনি। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে 'দিল্লিতে একটি রাজনৈতিক দলের বৈঠক সম্পর্কে' তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য নিয়ে সেলিমের কটাক্ষ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে নিজের দলের কর্মীদের সঙ্গে হেঁয়ালি করতেই পারেন। তাঁর সেই অধিকার রয়েছে"।