জমিনীতি বদলাতে সায় নেই মুখ্যমন্ত্রীর

জমির উর্ধ্বসীমা আইন কোনওভাবেই বদল করা হবে না। নেতাজি ইন্ডোরে মিলন মেলার উদ্বোধন করে আরও একবার জমির প্রশ্নে রাজ্যে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিগগিরি নতুন শিল্পনীতি ঘোষণার তোড়জোড় শুরু করলেও, মুখ্যমন্ত্রীর আজকের মন্তব্যে পর সেই নতুন শিল্পনীতি কতটা শিল্প সহায়ক হবে তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিল্পমহলেই।

Updated By: Dec 24, 2012, 08:24 PM IST

জমির উর্ধ্বসীমা আইন কোনওভাবেই বদল করা হবে না। নেতাজি ইন্ডোরে মিলন মেলার উদ্বোধন করে আরও একবার জমির প্রশ্নে রাজ্যে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিগগিরি নতুন শিল্পনীতি ঘোষণার তোড়জোড় শুরু করলেও, মুখ্যমন্ত্রীর আজকের মন্তব্যে পর সেই নতুন শিল্পনীতি কতটা শিল্প সহায়ক হবে তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিল্পমহলেই।
পালাবদলের পর কেটে গেছে দেড়বছর। শিল্পপতিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, বিজয়া সম্মেলনীর পরও রাজ্যে লগ্নির ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। শিল্পে মন্দার একটা বড় কারণ হিসেবে সামনে এসেছে রাজ্য সরকারের জমিনীতি। কোনওভাবেই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ না করা ও জমির উধর্বসীমা আইন শিল্প স্থাপনের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে শিল্পপতিদের সামনে, মত শিল্পমহলের। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেজন্য বিভিন্ন বণিকসভা গুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই মতামত জানতে চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রীর শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সৌগত রায়।
কিন্তু এবিষয়ে ঠিক কী পরামর্শ দিচ্ছে বণিকসভাগুলি? বেঙ্গল চেম্বার অব কর্মাস, মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স, সহ সব বণিক সংগঠনই জমির উর্ধ্বসীমা আইন তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। বণিক সংগঠনগুলির মতে, যদি শিল্পের জন্য লগ্নিকারীকে জমি কিনতে হয় সেক্ষেত্রে কেন তাঁকে ওই আইনের গণ্ডিতে আটকে থাকতে হবে? তাঁদের আরও দাবি, যদি একান্তই জমির উধর্বসীমা তুলতে সরকারের আপত্তি থাকে, সেক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমার ছাড় ২৪ একর থেকে বাড়িয়ে দেড়শো একর করা হোক।
 
বণিকসভার মতামত চাইলেও, তা মানতে যে সরকার খুব আগ্রহী নয়, মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট।
 
রাজ্যে শিল্প টানতে মরিয়া রাজ্য সরকার। ঘোষণা হতে চলেছে নতুন শিল্পনীতিরও। কিন্তু, নতুন নীতিতে শিল্প স্থাপনে জমি সংক্রান্ত অন্তরায় কতটা কাটানো সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয়ে শিল্পমহল।

.