অক্সিজেনের আশায় 'হাত' ছেড়ে এবার 'ঘাসফুল'-এই মানস!

শেষ পর্যন্ত অবসান হচ্ছে সব জল্পনার। সোমবারই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন মানস ভুঁইঞা। নবান্ন হয়ে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেস ভবন। তারপরই পতাকা বদল। যদিও মানসের দাবি এখনই চূড়ান্ত কিছু হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, অনেক আগেই মানস চূড়ান্ত করে ফেলেছেন কী করবেন।

Updated By: Sep 17, 2016, 04:15 PM IST
অক্সিজেনের আশায় 'হাত' ছেড়ে এবার 'ঘাসফুল'-এই মানস!

ওয়েব ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত অবসান হচ্ছে সব জল্পনার। সোমবারই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন মানস ভুঁইঞা। নবান্ন হয়ে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেস ভবন। তারপরই পতাকা বদল। যদিও মানসের দাবি এখনই চূড়ান্ত কিছু হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, অনেক আগেই মানস চূড়ান্ত করে ফেলেছেন কী করবেন।

বাংলার রাজনীতিতে রীতিমতো বর্ণময় চরিত্র। অতীতে সিপিএমের ধাওয়া খেয়ে ছুট দিয়েছেন ধান খেত ধরে। এবার ভোটের আগে সেই মানসই আবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে গদগদ হয়ে ধরা দিয়েছেন এক ফ্রেমে। সেই মানস ভুঁইঞার মুখেই এখন মুখ্যমন্ত্রীর ঢালাও প্রশংসা। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত নিজের দলের সঙ্গে। তার পর শুরু হয়ে যায় এক্কেবারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। অধীর-মান্নান হয়ে ওঠেন মানসের আক্রমণের টার্গেট।

সামাল দিতে পারেননি দিল্লির কংগ্রেস নেতারাও। দিল্লিতে ডেকে বৈঠক, শোকজ নোটিস, সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি। সবই হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহের আঁচ কমেনি একটুও। বরং দলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়েছেন মানস। ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। ভাইসহ তাঁর সহযোগীদের অনেকেই এখন শিবির বদল করে ঘাসফুলে। শেষপর্যন্ত তিনি নিজে সবংয়ের বিধায়ক থাকা অবস্থাতেই দল পরিবর্তনে মনস্থির করলেন।

সব ঠিক থাকলে সোমবারই হয়ে যাবে দল বদলের আনুষ্ঠানিক পর্ব। ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী বলে পরিচিতির এবার হয়তো ইতি টানবেন নিজেই। এবার হাত ছেড়ে ঘাসফুলেই মন দেবেন। অধীর চৌধুরী অবশ্য বলছেন, সবংয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের মামলায় হয় শ্রীঘর নয় তৃণমূল। কোনও একটা বাছতেই হতো মানস ভুঁইঞাকে। কংগ্রেসের কাছে এর কোনও গুরুত্ব নেই। মানস ভুইঞা অবশ্য এখনও চুপ। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, কী হতে চলেছে।

আরও পড়ুন, সোমবারই কী তৃণমূলে মানস? জল্পনা তুঙ্গে

.