চেয়েও আত্মসমর্পণ করতে পারছেন না জঙ্গলমহলের মাওবাদীরা
মহাকরণে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন সুচিত্রা মাহাত, জাগরী বাস্কের মতো মাওবাদী নেত্রীরা। সরকারের তরফে ফলাও করে তার প্রচারও হয়েছে। অথচ জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকজন মাওবাদী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাইলেও, ফিরতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, পুলিস এবং সিআরপিএফকে চিঠি দিয়ে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।
মহাকরণে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন সুচিত্রা মাহাত, জাগরী বাস্কের মতো মাওবাদী নেত্রীরা। সরকারের তরফে ফলাও করে তার প্রচারও হয়েছে। অথচ জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকজন মাওবাদী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাইলেও, ফিরতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, পুলিস এবং সিআরপিএফকে চিঠি দিয়ে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।
বন্দুক ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরলে সরকারি প্যাকেজ মিলবে। ক্ষমতায় এসে মাওবাদীদের জন্য বারবার এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাওবাদী আত্মসমর্পন করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাগরী বাস্কে এবং সুচিত্রা মাহাত। কিন্তু জঙ্গলমহলের ২২ জন মাওবাদী সমাজের মূলস্রোতে ফেরার জন্য চেষ্টা করছেন। অথচ ফিরতে পারছেন না। একসময়ের সতীর্থদের কাছ থেকে প্রাণঘাতী আক্রমণের আশঙ্কা, অন্যদিকে, যৌথবাহিনীর হাতে মারা পড়ার ভয়। এই দুইয়ের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
সরকারের তরফে প্যাকেজ ঘোষণা করে, মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর আবেদন জানানো হচ্ছে। অথচ এই ২২ জনের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না পুলিস-প্রশাসন। সরকারি উদাসীনতা, নাকি রাজনৈতিক কারণেই গুরুত্ব পাচ্ছে না এই আবেদন তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।