মেডিক্যাল কলেজে জটিল অস্ত্রোপচার, প্রাণ বাঁচল ছোট্ট শামিমের
বারো দিনের সদ্যোজাত শিশুর গলায় আটকেছিল নাকছাবি। খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্ট তীব্র হচ্ছিল। অপারেশন করাতে গেলে অজ্ঞান করা জরুরি। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে অজ্ঞান করে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অসাধ্য সাধন করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকরা।
বারো দিনের সদ্যোজাত শিশুর গলায় আটকেছিল নাকছাবি। খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্ট তীব্র হচ্ছিল। অপারেশন করাতে গেলে অজ্ঞান করা জরুরি। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে অজ্ঞান করে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অসাধ্য সাধন করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকরা। ইএনটি বিভাগের চিকিত্সকদের মরিয়া চেষ্টায় প্রাণে বাঁচাল ছোট্ট শামিম আহমেদকে।
ক্যানিংয়ের জীবনতলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি বারোদিনের সদ্যোজাত শিশু শামিম আহমেদের। বাড়ির লোকের অসাবধানতাবশত শিশুটির শ্বাসনালীতে আটকে যায় একটা আস্ত নাকছাবি। বৃহস্পতিবার রাতভর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরলেও অত ছোট শিশুর অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে চাননি কোনও চিকিত্সক। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকে। মাঝরাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় শামিমকে।
শিশুটিকে পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা। কিন্তু বারো দিনের শিশুর গলায় অস্ত্রোপচার চিকিত্সকদের কাছে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের।
মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সক তুষার চক্রবর্তী শিশুটির অ্যানাসথেশিয়ার দায়িত্ব নেন। সফল অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে স্বাভাবিক হয় বারোদিনের ছোট্ট শামিম।