ফের পার্কস্ট্রিটে দরজায় আটকাল ছাত্রীর হাত! অভিযোগের প্রমাণ নেই, বলল মেট্রো
তাঁদের দাবি, অভিযোগকারিনীর বয়ান অনুযায়ী, স্টেশনের নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে এই ধরনের কোনও ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেট্রোর দরজায় ফের ছাত্রীর হাত আটকে যাওয়ার অভিযোগ নস্যাত্ করে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, অভিযোগকারিনীর বয়ান অনুযায়ী, স্টেশনের নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে এই ধরনের কোনও ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের আরও বক্তব্য, ওই ছাত্রী ঘটনার পর কোনও স্টেশন স্টাফকেও বিষয়টি জানাননি। তাই এই ঘটনার কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, আত্রেয়ী ভট্টাচার্য নামে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, পার্কস্ট্রিট থেকে মেট্রোয় ওঠার সময়ে তাঁর হাত আটকে যায় দরজার ফাঁকে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, কলেজে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প চলছিল। রক্ত দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আত্রেয়ী। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪টে ২৫। পার্কস্ট্রিট থেকে মেট্রোয় উঠতে যান তিনি। আচমকা গেট আটকে যায়। তাঁর শরীরের অর্ধেক ভেতরে এবং অর্ধেকটা তখন বাইরে ছিল। তিনি তখন বেরনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পারছিলেন না। কামরার ভিতর থেকে এক যুবক তখন তাঁর হাত ধরে ভিতরে টেনে আনার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ চেষ্টার পর ওই যুবকই টেনে তাঁকে ভিতরে ঢোকান।
ঘটনার আকস্মিকতায় ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। অন্যান্য যাত্রীরা তাঁর চোখেমুখে জল দেন। তিনি প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান। এরপর কুঁদঘাট স্টেশনে নেমে বাড়িতে যান তিনি।
৩৭০ ধারা বিলোপ বিলের বিষয় নিয়ে আপত্তি নেই, পদ্ধতির সঙ্গে সহমত নন মমতা
আত্রেয়ী বলেন, “আমার তখন যা শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ছিল, মেট্রো স্টেশনের কোনও স্টাফকেই জানাতে পারিনি। বাড়ি ফিরে টুইট করি।” কিন্তু এবিষয়ে মেট্রো বিন্দুমাত্র দুঃখপ্রকাশ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়ে দেন। আত্রেয়ীর মা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা মোহনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকে তো আমি আমার মেয়েকে হারিয়ে ফেলতে পারতাম। মেট্রো কর্তৃপক্ষ কি করে বিষয়টি অস্বীকার করল?”