জমি জটে বিশ বাঁও জলে মেট্রো প্রকল্প
জমি জটে ফের আটকে গেল শহরকে গতিময় করার প্রয়াস। নিউ গড়িয়া থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পথ সম্প্রসারণের কাজ থমে গেল তিনটি কারণে।
জমি জটে ফের আটকে গেল শহরকে গতিময় করার প্রয়াস। নিউ গড়িয়া থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পথ সম্প্রসারণের কাজ থমে গেল তিনটি কারণে।
১) নিউ গড়িয়ার কাছে এই জলাশয়। যার ওপর দিয়ে মেট্রো যাবার কথা। জলাভূমি আইন ভেঙে মেট্রো প্রকল্প যাতে এই পথ দিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। হাইকোর্ট একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশ না পাওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে প্রকল্পের কাজ থমকে আছে।
২) প্রগতি ময়দান থানার সামনে বাইপাসের ওপর তৈরি হচ্ছে কেএমডিএ-র বহুমুখী উড়ালপুল। ফলে বাইপাসের ওপর সমান্তরাল ভাবে এলিভেটেড করিডোর দিয়ে মেট্রো নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে পি সি চন্দ্র পার্কের সামনে নিয়ে ঘুরপথে মেট্রো নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। কিন্তু প্রকল্পের বাজেটে তা কুলোচ্ছেনা।
৩) সব থেকে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে দমদম বিমানবন্দরে প্রান্তিক স্টেশন তৈরিতে। ভাবা হয়েছিল বর্তনাম চক্ররেলের স্টেশনের সঙ্গে মেট্রোর প্রস্তাবিত স্টেশন কে যুক্ত করা হবে। বেকে বসেছে এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া। নিরাপত্তার কারণে তারা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মাটির তলায় স্টেশন করার। ফলে হলদিরাম থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মেট্রো পথ তৈরি করতে হবে মাটির নিচে। যা তিনগুণ বাড়িয়ে দেবে প্রকল্পের খরচ।
নিউ গড়িয়ে থেকে মেট্রো পথে বিমানবন্দরের দূরত্ব ধরা হয়েছিল ৩২ কিলোমিটার। ২০১১ সালে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। গোটা মেট্রো পথটাই এলিভেটেড করিডোর ব্যবস্থায় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মাটির ওপর পিলার সিস্টেমে রাখার কথা ছিল ১৮ টি স্টেশন। সেইমত প্রকল্পের খরচ ধরা হয় ৩৯৫১ কোটি টাকা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একদিকে মাটির নিচে লাইন ও প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বাড়তি টাকার প্রয়োজন। অন্যদিকে জমি জটে কাজ থমকে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে প্রকল্পের খরচ।