টুন্ডা, দাউদ আর আইএসআই-এর মিসিং লিঙ্ক পশ্চিমবঙ্গ
টুন্ডা, দাউদ ইব্রাহিম,আইএসআই। মিসিং লিঙ্ক পশ্চিমবঙ্গ। এবার সেই পশ্চিমবঙ্গে টুন্ডার যোগাযোগ এবং আশ্রয় খোঁজার উদ্যোগ নিল দিল্লি পুলিস। সম্ভবত তাঁকে নিয়ে এরাজ্যে আসতে পারে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল।
টুন্ডা, দাউদ ইব্রাহিম,আইএসআই। মিসিং লিঙ্ক পশ্চিমবঙ্গ। এবার সেই পশ্চিমবঙ্গে টুন্ডার যোগাযোগ এবং আশ্রয় খোঁজার উদ্যোগ নিল দিল্লি পুলিস। সম্ভবত তাঁকে নিয়ে এরাজ্যে আসতে পারে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল।
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগের কথা জেরায় স্বীকার করেছে লস্কর জঙ্গি আব্দুল করিম টুন্ডা। জাল নোটের কারবারে দাউদকে সাহায্য করছেন পাক সেনা অফিসার মেজর তায়িব। দাউদের জাল নোটের কারবার দেখাশোনা করেন আইএসআই ঘনিষ্ঠ জঙ্গি ইকবাল কানা। জাল নোট ছাপা হয় পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এবং পেশোয়ারে। টুন্ডাকে জেরা করে জাল নোটের রুট সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা করতে পারছেন গোয়েন্দারা। ইকবাল কানার উদ্যোগেই পাক মাটি থেকে থাইল্যান্ডের ব্যংকক পৌঁছত জাল টাকা। চিনের সামগ্রীর মধ্যে ভরা হত সেইসব টাকা। তারপর তা যেত বাংলাদেশের ঢাকায়। ঢাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে জাল নোট ছড়িয়ে পড়ত গোটা ভারতে।
জাল নোটের কারবারের পাশাপাশি বিস্ফোরকের ক্ষেত্রেও টুন্ডাই ছিল নেটওয়ার্ক। খুব সামান্য পটাশিয়াম,ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দিয়ে বিস্ফোরক বানাতে সিদ্ধহস্ত ছিল লস্কর জঙ্গি আব্দুল করিম টুন্ডা। বাংলাদেশে জাকারিয়ার মেয়ে এবং কলকাতায় আবু তাহেরের মেয়কে বিয়ে করে দুদেশে নিজের আস্তানা পাকা করে ফেলেন টুন্ডা। জাল টাকার কারবারে পশ্চিমবঙ্গের মালদা-মুর্শিদাবাদ সীমান্তকেই রুট হিসেবে ব্যবহার করত লস্কর জঙ্গি।
২০০৯-এ বিস্ফোরক সহ শিয়ালদায় ধরা পড়ে আবু তাহের। চার বছর আগে ধরা পড়লেও, টুন্ডা,লস্কর,দাউদ, আইএসআই এসব সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি আবু তাহেরর কাছ থেকে। কারণ আবু তাহের তেমন বড় মাপের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু গোয়েন্দা জালে টুন্ডা ধরা পড়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এ রাজ্যে আবু তাহেরর মাধ্যমে আরও বেশকিছু কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল যারা এখনও সক্রিয়। পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয়স্থল রয়েছে যা এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী টুন্ডা নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকলে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে আসার সম্ভাবনা ছিল। সে কারণেই এবার টুন্ডাকে নিয়ে রাজ্যে আসতে পারে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলের এর দল।