মোদী-মমতার সম্পর্কে টানাপোড়েন সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে

Updated By: May 12, 2015, 09:49 AM IST
মোদী-মমতার সম্পর্কে টানাপোড়েন সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে

সংঘাত বেমালুম উধাও। দুজনেরই গলায় এখন সহযোগিতার সুর। মোদী-মমতার সম্পর্কের এই নয়া রসায়ন কি ভাঙন ধরাবে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে? তৃণমূল নাকি বিজেপি, তার মাশুল গুনবে কে?  নাকি ফায়দা লুটবে বিরোধীরাই, উঠছে প্রশ্ন।

রবিবার এমনই বিরল ঐকতানের সাক্ষী থাকল আসানসোলের পোলো ময়দান। সুর যে মিলেছে, তা ভাষণ ও আচরণে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউপিএ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও সারদাকাণ্ড কিংবা খাগড়াগড়ের কথা বেমালুম ভুলেই গেলেন তিনি! রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজেদের স্বার্থের তাগিদেই এখন সমঝোতার পথে  বিজেপি-তৃণমূল।

মমতা ব্যানার্জির স্বার্থ, কেন্দ্রের সাহায্য আদায় এবং সারদাকাণ্ড থেকে মুক্তির চেষ্টা। মোদীও দেখলেন, রাজ্যসভায় বিল পাশ করানো যে বড় বালাই। মোদী  চান সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁকে সাহায্য করুন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না। এবার সফল হলেন। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য কোনওরকম আশঙ্কা দেখছেন না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা,  ঘাসফুল আর পদ্মের যুগলবন্দির নিরিখে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বেই।

রাজ্যের ২৮ শতাংশ মুসলিম ভোট ঘিরেই জল্পনা দানা বাঁধছে। মোদী-মমতার সখ্য নিয়ে সরব কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে। সোচ্চার বামেরাও। বিজেপি-তৃণমূলের  আঁতাতের ইস্যু তুলে ধরে  সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে সক্রিয় তারা। শেষপর্যন্ত তৃণমূল নাকি বিজেপি কার ঘর ভাঙবে, আগামী দিনে রাজ্য-রাজনীতির নজর থাকবে সেদিকেই।

 

.