মহানগরের রাজপথে পাঁচ ঘণ্টায় চারজনের শ্লীলতাহানি

দেশের অনান্য মহানগরীগুলির থেকে কলকাতা নারীদের জন্য সুরক্ষিত। সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের লাগাতার দাবি, সব জায়গাতেই বারবার উঠে এসেছে এই তথ্য। কিন্তু সত্যিই কী কলকাতা সুরক্ষিত? সন্ধ্যা সাতটা, রাত নটা, রাত এগারোটা ও রাত বারোটা। মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের চারটি বিভিন্ন স্থানে চারটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ নথিভুক্ত হল থানায়। যদিও প্রত্যেকটি ঘটনাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস, তবুও এই ঘটনাগুলো কলকাতার নারীসুরক্ষার গর্বকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিল।

Updated By: Jan 29, 2013, 12:46 PM IST

দেশের অনান্য মহানগরীগুলির থেকে কলকাতা নারীদের জন্য সুরক্ষিত। সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের লাগাতার দাবি, সব জায়গাতেই বারবার উঠে এসেছে এই তথ্য। কিন্তু সত্যিই কী কলকাতা সুরক্ষিত? সন্ধ্যা সাতটা, রাত নটা, রাত এগারোটা ও রাত বারোটা। মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের চারটি বিভিন্ন স্থানে চারটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ নথিভুক্ত হল থানায়। যদিও প্রত্যেকটি ঘটনাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস, তবুও এই ঘটনাগুলো কলকাতার নারীসুরক্ষার গর্বকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিল।
সন্ধ্যা সাতটায় শ্যামবাজারের রেস্তোঁরা থেকে বেরনোর সময় এক মহিলাকে সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি করেন এক বিএসএফ জওয়ান। ঘটনার সময় মণীশ রাজিন্দর নামে ওই জওয়ান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গেছে। এর ঠিক ঘণ্টা দুই পরে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে রাত নটায় রিজেন্টপার্কে। বাঁশদ্রোণী থেকে অটোয় বিবেকানন্দ পার্কে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে সংশ্লিষ্ট অটোচালক। অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। রাত ১১টায় নর্থপোর্ট থানা এলাকায় বাগবাজার ঘাটে স্বামীর সঙ্গে বেরিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হন এক মহিলা। সুশান্ত সিং নামে  অভিযুক্ত  ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ওই মহিলার বাড়ি বিধাননগর থানা এলাকায়। রাত বারোটায় কসবা থানা এলাকায় প্রাক্তন প্রেমিকাকে শ্লীলতাহানি করে এক ব্যক্তি। বাবলু গুপ্ত নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির মত অপরাধ এবং সেই অপরাধের থানায় নথিভুক্ত হওয়ার অনুপাত প্রমাণিত ভাবেই আমাদের দেশে অতন্ত কম। তা স্বত্বেও মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের বিভিন্ন স্থানে চারটি শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও আসলে এই পাঁচ ঘণ্টায় ঘটে যাওয়া নারী লঞ্চনার ঘটনা যে অনেক বেশি তা স্বীকার করে নিচ্ছেন সবাই। এর পরেও কলকাতাকে নারীদের জন্য সুরক্ষিত বলা যায় কী না তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

.