২দিনে এভারেস্ট জয় ৭ বাঙালীর, গতিবিধি অস্পষ্ট আরও ৪ পর্বতারোহীর
খানিকটা স্বস্তি দিয়ে চার এভারেস্ট জয়ী বাঙালী পর্বতারোহীর খোঁজ মিললেও এখনও যোগাযোগ করা যায়নি আরও চার জনের সঙ্গে। জানা যায়নি তাঁদের গতিবিধি। চার বাঙালি আজ ভোরেই এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। সেই দলে ছিলেন মলয় মুখার্জি, সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, রমেশ রায় ও রুদ্রপ্রসাদ হালদার। অন্য আরেকটি দলে ছিলেন সুনীতা হাজরা, সুভাষ পাল, পরেশ নাথ ও গৌতম ঘোষ। তবে আজ সকাল ১১টা ৩৮-এর পর থেকেই পরের দলটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ওয়েব ডেস্ক : খানিকটা স্বস্তি দিয়ে চার এভারেস্ট জয়ী বাঙালী পর্বতারোহীর খোঁজ মিললেও এখনও যোগাযোগ করা যায়নি আরও চার জনের সঙ্গে। জানা যায়নি তাঁদের গতিবিধি। চার বাঙালি আজ ভোরেই এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। সেই দলে ছিলেন মলয় মুখার্জি, সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, রমেশ রায় ও রুদ্রপ্রসাদ হালদার। অন্য আরেকটি দলে ছিলেন সুনীতা হাজরা, সুভাষ পাল, পরেশ নাথ ও গৌতম ঘোষ। তবে আজ সকাল ১১টা ৩৮-এর পর থেকেই পরের দলটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চিন্তা এখন একটাই, সঙ্গে থাকা অক্সিজেন যদি শেষ হয়ে যায়। এছা়ডা ফ্রস্ট বাইটেরও সম্ভাবনা থাকে। মাঝে একবার সত্যরূপদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আবার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী সত্যরূপদের দলটি বেসক্যাম্প ফোরে নেমে এসেছে।
শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৫৩-তে । দুর্গম এভারেস্ট শৃঙ্গে পা রাখেন তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারি। পথ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। সেই পথে শৃঙ্গ জয় করেন দেবাশিস বিশ্বাস ও বসন্ত সিংহ রায়। এভারেস্ট শৃঙ্গে পা রাখা প্রথম বাঙালি তাঁরাই। পেরেছিলেন ছন্দা গায়েনও। এবার পারলেন ওঁরা। এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেন মলয় মুখার্জি, সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, রমেশ রায় ও রুদ্রপ্রসাদ হালদার। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা মলয় মুখার্জি গতবছরও এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করেন। তবে সে সময় নেপালে প্রবল ভূমিকম্পের কারণে ফিরে আসতে হয়। এবার আর তাঁকে খালি হাতে ফেরাল না বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। পরিবারে খুশির ছোঁয়া। শুক্রবার দুপুরে চার নম্বর সামিট ক্যাম্প থেকে রওনা দেন তাঁরা। শনিবার সকালে শৃঙ্গজয় করেন তাঁরা। সোনারপুরে রুদ্রপ্রসাদ হালদারের পরিবারেও খুশির ছোঁয়া।
এর আগে শুক্রবারই এভারেস্ট শৃঙ্গে পৌঁছে যান তিন বাঙালি দেবরাজ দত্ত, চেতনা সাহু ও প্রদীপ সাহু। তবে এভারেস্ট জয়ের পরই ফ্রস্ট বাইটের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন চেতনা। পরে তাঁকে ফিরিয়ে এনে চিকিত্সা করা হয়।