"মুকুল ঝরার' আগে দলের কূল বাঁচাতে নিজেই হাল ধরলেন মমতা
মুকুল বিহীন তৃণমূলের সংগঠন সামলাতে তত্পর তৃণমূলনেত্রী। আচমকা তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলের নীচু স্তরের কর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা ভোট নিয়েও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলেচনা সেরে রাখলেন তিনি। অন্যদিকে দিল্লিতে বসে এখনও মুকুল রায় হিসেব করে চলেছেন দল ছাড়লে কাকে কাকে সঙ্গে পাবেন।
কলকাতা: মুকুল বিহীন তৃণমূলের সংগঠন সামলাতে তত্পর তৃণমূলনেত্রী। আচমকা তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলের নীচু স্তরের কর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা ভোট নিয়েও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলেচনা সেরে রাখলেন তিনি। অন্যদিকে দিল্লিতে বসে এখনও মুকুল রায় হিসেব করে চলেছেন দল ছাড়লে কাকে কাকে সঙ্গে পাবেন।
মুকুল রায় থেকেও নেই. সরকার এবং সংগঠন দুটোর দায়িত্বই এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাঁধে. সুযোগ পেলেই কালিঘাটের বাড়িতে নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি. বুধবার সটান হাজির তৃণমূল ভবনে. বহুদিন বাদে. ভবনে ঢুকেই সোজা নিজের ঘরে. ভবনে তখন হাজির শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন মাঝেমধ্যে বেফাঁস বলে ফেলা সাংসদ সুগত বসুও.১৮ এপ্রিল পুরসভার ভোট.. প্রার্থী হওয়ার দীর্ঘ তালিকা সঙ্গে চলছে মন কষাকষির পালাও.আগে সামলাতেন মুকুল রায়. মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে তারা এবার বাদ. অর্থাত্ সারদা জমানায় সততাকেই ফের হাতিয়ার করতে চান মুখ্যমন্ত্রী. কাজ কতটা এগিয়েছে তা নিয়েও মেয়রের কাছ থেকে রিপোর্ট চান তিনি.
প্রায় এক ঘণ্টা তৃণমূল ভবনে মুড়ি, তেলেভাজা আর লাল চা. কাজের কথা সেরে সবার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন খোশগল্পতেও মজলেন দলনেত্রি. এমনকি একবার ঢুকে পড়লেন নীচের ঘরে যেখানে সাধারণত ভিসিটররা অপেক্ষা করেন. বহুদিন বাদে তৃণমূল ভবনে একেবারেই অন্য মেজাজে তৃণমূল নেত্রী, আগে যেমনটা ছিলেন. একবার উঁকি মারলেন সেই ঘরটাতেও যেটায় মুকুল রায় বসতেন. মুকুল এখন দিল্লিতে. তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের জোড়াতালি দেওয়ার থেকেও যিনি এখন বেশি ব্যস্ত দলে নিজের নিজের জল মাপতে.. তবে দিন যত যাচ্ছে কমছে ফোনের সংখ্যা. একটু হলেও যেন দিশেহারা. আরঠিক ততটাই সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী.