দিদি-পিসি শব্দ কেন বাদ দেব, মুকুলের প্রশ্নে জবাব নেই কমিশনের

ওই গান ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। যদিও অভিযোগ, তার পরও আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র প্রচারে ওই গান ব্যবহার করা হচ্ছে।

Updated By: Apr 8, 2019, 08:50 PM IST
দিদি-পিসি শব্দ কেন বাদ দেব, মুকুলের প্রশ্নে জবাব নেই কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদন: আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী তথা সেখানকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র গান কেন বন্ধ করা হবে, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর প্রশ্ন, ওই গান থেকে দিদি, পিসি শব্দগুলি কেন বাদ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় একটি গান তৈরি করেছেন। যা প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই গানে দিদি, পিসি এই শব্দগুলি নিয়ে আপত্তি তোলা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায়।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। ওই গান ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। যদিও অভিযোগ, তার পরও আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র প্রচারে ওই গান ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: থিম সং বিতর্ক: বাবুলের গান নিষিদ্ধ করল কমিশন

সোমবার নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দিদি পিসি তো বাংলা শব্দ। তাহলে কেন এই শব্দগুলি বাদ দেওয়া হবে। বিজেপির দাবি, ওই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। ফলে গান বাজানো হবে বলে কমিশনকে জানানো হয়েছে।

যদিও কমিশন সূত্রে খবর, বিষয়টির উপর তাদের তরফে নজর রাখা হচ্ছে। ওই গান ফের বাজানো হলে বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।

আরও পড়ুন: 'পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন!'পুলিস কর্তা বদলিতে চিঠি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর, পড়ুন চিঠিটি

উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গানটি সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। ভাইরাল হয়ে যায় গানটি। অভিযোগ, 'ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল' শীর্ষক এই গানের ছত্রে ছত্রে সমালোচনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের।  নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হলেও, এই গান প্রকাশের আগে কমিশনের অনুমতি নেননি বাবুল। মিডিয়া সার্টিফিকেশন ছাড়া কেন থিম সংটি ইউটিউবে তুলেছেন, সে প্রশ্ন তুলে এরপরই বাবুল সুপ্রিয়কে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।

শোকজের প্রেক্ষিতে বাবুল দাবি করেন, গানটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। গানটি নিয়ে পরামর্শ নিতে হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকজন দলীয় কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে গানটি। তিনি নিজে গানটি প্রকাশ্যে আনেননি। মিডিয়া সামনে এনেছে। কিন্তু বাবুলের সেই উত্তরে খুশি হয়নি কমিশন।

আরও পড়ুন: পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিস কমিশনারকে সরাল নির্বাচন কমিশন

প্রসঙ্গত, আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীর সেই যুক্তি খারিজ হয়ে যায় তাঁরই করা একটি টুইটে। টুইটে দেখা যায়, বিজেপির থিম সংটি রেকর্ড করছেন বাবুল সুপ্রিয়। রেকর্ডিংয়ের পর অডিও চেক করছেন তিনি। টুইটে একটি ভিডিও শেয়ার করে বাবুল লিখেছিলেন, "খুব আনন্দ হচ্ছে। আপনাদের সবার জন্য বিজেপির থিম সং রেকর্ডিংয়ের এক ঝলক রইল। অমিত চক্রবর্তীর লেখা এই গানে গলা দেওয়া একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে আমাদের এই গান।" সেই টুইটটিকে উল্লেখ করেই থিম সং বিতর্কে বাবুল সুপ্রিয়র সাফাই খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি বুথে ভোটগ্রহণ হবে সশস্ত্র বাহিনীর পাহারায়, জানাল নির্বাচন কমিশন

কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, গানটির প্রচার নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় যে দাবি করেছিলেন, তার পুরোটা সত্যি নয়। কমিশন বলে, "বাবুল নিজে তাঁর গান টুইট করেছিলেন। অথচ তিনি দাবি করেছিলেন, মিডিয়া তাঁর গান বাইরে বাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার ছিল না। কিন্তু, কমিশনের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত যে বাবুল নিজেও তাঁর গান টুইট করে সকলের সামনে এনে ছিলেন।" এরপরই থিম সং নিষিদ্ধ করে কমিশন।

.