রাহুল কাঁটা সরিয়ে পদ্মে এবার মুকুল ফুটছে, সরছেন সিদ্ধার্থনাথ, ভিত্তিহীন খবর বলে উড়িয়ে দিল রাজ্য বিজেপি
এ মাসেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মুকুল রায়। আচমকা কোনও পটপরিবর্তন না হলে, শুধু মুকুলকে দলে নেওয়াই নয়, বড় রদবদল আনা হচ্ছে বিজেপির রাজ্য সংগঠনেও।
ওয়েব ডেস্ক: এ মাসেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মুকুল রায়। আচমকা কোনও পটপরিবর্তন না হলে, শুধু মুকুলকে দলে নেওয়াই নয়, বড় রদবদল আনা হচ্ছে বিজেপির রাজ্য সংগঠনেও। সিদ্ধার্থনাথ সিংকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে। রাহুল সিনহার বদলে রাজ্য সভাপতি করা হচ্ছে চন্দন মিত্রকে।
আমের মরশুমে দলবদল। ঘাসফুলের মুকুল এবার পদ্মবনে। বিজেপি সূত্রে খবর চলতি মাসেই তৃণমূলের প্রাক্তন নাম্বার টু হাতে নেবেন গেরুয়া ঝান্ডা।
মুকুল রায়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অনেকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে বিজেপির অন্দরে। তবে পুরভোটের হতাশাজনক ফলের পর, মুকুল নিয়ে আর কোনও ওজর আপত্তি শুনতে রাজি নয় দিল্লির অশোক রোডের নেতারা। ঢেলে সাজানো হচ্ছে দলের রাজ্য সংগঠনকেও।
পুরভোটের প্রার্থী বাছাই পর্ব থেকেই রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে দিস্তা দিস্তা অভিযোগ জমা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। ভোটের হতাশাজনক ফলের পর সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাহুল সিনহাকে খুব সম্ভবত সরানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে আসতে পারেন চন্দন মিত্র।
ভাগ মুকুলের ডাক দিয়েছিলেন যিনি, মুকুল আসায় সরতে হচ্ছে তাঁকেও। পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূলের আক্রমণ করার উত্সাহে অনেক সময় দলীয় লক্ষ্মণরেখাই লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
পুরভোটের ব্যর্থতা মুছে ফেলে দুহাজার ষোলোয় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। তাই সাংগঠনিক রদবদলে আর একটুও দেরি করতে চাইছে না তারা। কিন্তু, সেই বদলে কি বদল আসবে রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে? উত্তর দেবে ভবিষ্যত্।