কাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন মুকুলের, তৃণমূলে আজ টেনশনের রাত
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরজুড়ে আজ টেনশনের রাত। কাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন মুকুল রায়। তিনিও কী গ্রেফতার হয়ে যাবেন? নাকি জেরার সন্তোষজনক জবাব দিয়ে হাত নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে আসতে পারবেন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে। এ রাজ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক সময়ের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মুকুল রায়ের কী হবে ? তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
১২ জানুয়ারি
মুকুল রায়কে সাতদিনের মধ্যে সিবিআইয়ের তলব।
১৪ জানুয়ারি
সিবিআইয়ের দফতরে চিঠি মুকুল রায়ের আইনজীবীর। বাড়তি চাওয়া হল পনেরো দিন। শুরু হল টানাপোড়েন। আইনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি। রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের। কপিলসিব্বলকে রাজি করানো নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
২৭ জানুয়ারি
বিচারপতিরা ব্যস্ত থাকায় মামলাই উঠল না সুপ্রিম কোর্টে। একরাশ হতাশা নিয়ে পরের দিনই কলকাতায় ফিরলেন মুকুল রায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবারই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের।
নতুন মন্তব্য নয়। নতুন শুধু এটুকুই, শুক্রবারই যে যাচ্ছেন তা জানিয়ে দিলেন। এ দিন দুপুরের পর থেকেই নিজাম প্যালেসে মুকুল ঠিকানায় তার অনুগামীদের মস্ত ভিড়। এমএলএ, এমপি, জেলার নেতা কে নেই সেখানে? কখনও দল বেঁধে কেউ বা একাই দেখা করলেন ক্রাইসিস ম্যানেজারের সঙ্গে।
কী করবে সিবিআই? শুধুই প্রশ্নোত্তর? নাকি গ্রেফতার? কী প্রশ্ন করা হবে মুকুল রায়কে? শুধু তৃণমূল শিবির নয়, এই প্রশ্নই পাক খাচ্ছে রাজ্য ছাড়িয়ে রাজধানীতেও। কোনও নির্দেশ? একটাই। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে কোনও জমায়েত করা যাবেনা। অর্থাত্ মদন মিত্রের সেদিনের ঘটনা যে তিনি আর রিপিট করতে চান না সেই নির্দেশ স্পষ্ট