মুকুলিত তৃনমূল, নাকি তৃণমূলের মুকুল? ধন্ধে রাজনীতি মহল
সিবিআইয়ের ডাক আসার পরই দুজনার দুটি পথ দুদিকে বেঁকে গিয়েছিল। মুকুল রায় স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার রাস্তায় হাঁটতে চান। দলের সিবিআই বিরোধিতার লাইনে তিনি নেই।
ব্যুরো: সিবিআইয়ের ডাক আসার পরই দুজনার দুটি পথ দুদিকে বেঁকে গিয়েছিল। মুকুল রায় স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার রাস্তায় হাঁটতে চান। দলের সিবিআই বিরোধিতার লাইনে তিনি নেই।
সারদা-কাণ্ডে রজত মজুমদারের গ্রেফতারের দিনে মুকুল রায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল এ কথা। সিবিআইয়ের সমন পাওয়ার পরই কিন্তু তাঁর সুর বদলে যায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে আর কোনও কথা শোনা যায়নি মুকুলের মুখে।
সিবিআই জেরা সামলে বেরিয়ে আসার পর মুকুল আরও স্পষ্ট। বুঝিয়ে দেন, দলের লাইন তাঁর লাইন আলাদা।
শুক্রবার, তৃণমূল সাংসদরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির কাছে গেলেন। তৃণমূলের সংসদীয় দলে যে মুকুল রায়ও ছিলেন তা মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না ডেরেক ও ব্রায়েন।
৩১ জানুয়ারি তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকের পর বলা হয়েছিল, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে হামিদ আনসারির কাছে দরবার করা হবে। এদিন, কিন্তু ডেরেক খোলসা করলেন না উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁদের কী কথা হল?
গত সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মুকুল রায়। আর শুক্রবার, দলের রাজ্যসভার সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করে এলেন তিনি। তৃণমূলে-মুকুলে যে আবার মিল খেতে শুরু করেছে তা আপাতদৃষ্টিতে পরিষ্কার। কিন্তু, মুকুল দলকে নিজের লাইনে আনলেন না দল মুকুলকে টেনে আনল তার লাইনে?
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, মুকুল-তৃণমূলের সমীকরণ কী হতে চলেছে তা বুঝতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।