CID Case: হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা দিতে নির্দেশ, সিআইডি 'তোলা' মামলায় বিস্ফোরক মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী!
এমনকি সিআইডির অফিসার টাকার বিষয়ে 'ডিল' করতে ওই ব্যবসায়ীকে নেপালে দেখা করতে বলেন বলেও অভিযোগ। আইনি মারপ্যাঁচ থেকে রক্ষা পেতে এবং টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে রাখার হুমকি দিয়ে ১০ কোটি টাকা চাওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ।
পিয়ালি মিত্র: সিআইডি অফিসারের তোলা তোলার মামলায় পুলিসের কাছে অভিযোগে গুরুতর অভিযোগ মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র চন্দ্রলাল নাভালানির। তাঁর অভিযোগ, সিআইডির ওই অফিসার হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা দেওয়ার কথা বলেন তাঁকে। যে ১০ কোটি টাকা 'তোলা'র জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তা হাওয়ালার মাধ্যমে দিতে বলা হয়। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা দেওয়ার জন্য দুটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে এমনটাই দাবি মুম্বইয়ের ওই ব্যবসায়ীর। এমনকি সিআইডির অফিসার টাকার বিষয়ে 'ডিল' করতে ওই ব্যবসায়ীকে নেপালে দেখা করতে বলেন বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ, গত জুলাই মাসে মুম্বইয়ের একটি হোটেল দেখা করে সিআইডির ওই অফিসার ১ লক্ষ টাকা নেন। তারপর কলকাতার আলিপুরে একটি পাঁচাতারা হোটেলে ডেকে পাঠিয়ে ব্যবসায়ীর এক পরিচিতের কাছ থেকে আরও ১ লক্ষ টাকা নেন। এমনকি, মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে ব্যবসায়ীর অফিসের কাছে দেখা করে তাঁর এক আত্মীয় কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেন সিআইডির ওই অফিসার সহ অভিযুক্তরা। এরপর মুম্বইয়ের বিকেসিতে অভিযুক্ত অফিসারদের একজন তাঁকে একটি ফোন নম্বর দিয়ে আরও ৮ লক্ষ টাকা দিতে বলেন। সেই টাকাও দেওয়া হয় বলে ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র চন্দ্রলাল নাভালানির দাবি।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে রানিগঞ্জে একটি গাড়ি থেকে ৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। একজন গ্রেফতার হয়। সেই টাকার সঙ্গে মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র চন্দ্রলাল নাভালানির সংস্থার যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর নরেন্দ্রপুরের ফরতাবাদের অফিসে তল্লাশি চালায় রাজ্য পুলিস ও সিআইডি। লুককাউট নোটিস জারি হয় ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর গত জুলাই মাসে দুবাই থেকে ফেরার সময় তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপরই ওই মামলায় পরবর্তী আইনি মারপ্যাঁচ থেকে রক্ষা পেতে এবং টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে রাখার হুমকি দিয়ে ১০ কোটি টাকা চাওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। এই রাজ্যের দুই শীর্ষ পুলিস কর্তার কথামতো তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, রানিগঞ্জে যে টাকা উদ্ধার হয় তার সঙ্গে তাঁর সংস্থার নাম জড়ানো হয়েছে। কিন্তু সেই টাকার সঙ্গে তাদের কোনও যোগসূত্র নেই। যদিও এই প্রসঙ্গে অবশ্য সিআইডি বা রাজ্য পুলিসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: কয়লাকাণ্ডে ১০০০ কোটি মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে! মমতার নাম না করে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু
ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র চন্দ্রলাল নাভালানির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তোলাবাজি, অপরাধমূলক যড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিস। মুম্বইয়ের কোলাবাতে একটি পানশালা রয়েছে ব্যবসায়ীর। মুম্বইয়ের প্রাক্তন এক পুলিস কমিশনার তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে খবর।