বাটানগরে জোড়া খুন
জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাটানগরের হায়েতপুরে। মঙ্গলবার সন্ধেয় হায়েতপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে এক তরুণী এবং তাঁর পিসির দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের নাম অন্তরা নাহা ও শিবানী দে। ২ জনের দেহেই ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাটানগরের হায়েতপুরে। মঙ্গলবার সন্ধেয় হায়েতপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে এক তরুণী এবং তাঁর পিসির দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের নাম অন্তরা নাহা ও শিবানী দে। ২ জনের দেহেই ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। নিহত তরুণীর মায়ের অভিযোগ, প্রণয়ঘটিত কারণেই এই খুন। মহেশতলা থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
২৬ নম্বরর ওয়ার্ডের ওই বাড়িতে থাকেন সন্ধ্যা নাহা। সঙ্গে থাকতেন তাঁর ননদ শিবানী দে। সন্ধ্যা নাহার মেয়ে অন্তরা নাহা পেশায় নার্স। কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। একমাসের ছুটি নিয়ে ১৬ এপ্রিল বাড়ি আসেন অন্তরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় সন্ধ্যাদেবী মেয়ে অন্তরা এবং ননদ শিবানী দেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখেন। ২ জনেরই গলার নলি কাটা ছিল। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি রক্ত লাগা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিস। খুনের পিছনে প্রণয় ঘটিত কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন সন্ধ্যা নাহার। সন্তোষ নামের এক যুবক তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কিন্তু শিবানী দে-কেও কেন হত্যা করা হল, সন্ধ্যা নাহা সেবিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। সন্ধ্যা নাহার কথা অনুযায়ী পুলিসের অনুমান, হয়তো অন্তরাকে খুনের সময় তা দেখে ফেলেছিলেন শিবানী দেবী। সেকারণেই কি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। অথবা, ভাইঝিকে খুনের সময় আততায়ীকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকেও খুন করা হয় বলে মনে করছে পুলিস।