অদ্ভুত পারদর্শীতায় ইলেট্রিক্যাল সার্কিটেই জোড়া খুন পার্কস্ট্রিটের হোটেলে, চমকে গেলেন গোয়েন্দারা
পার্কস্ট্রিটের হোটেলে জোড়া খুনের আততায়ী ইলেট্রিক্যাল বিষয়ে পারদর্শী। খুনের পদ্ধতি দেখে এমনই দাবি গোয়েন্দাদের। যে কায়দায় নিঃশব্দে ওই মহিলা ও শিশুকে খুন করা হয়েছে তা দেখে চমকে গেছেন তদন্তকারীরা। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ইঙ্গিত মিলেছে।
পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে যে অভিনব কায়দায় মহিলা ও শিশুকে খুন করা হয়েছে তা বেনজির। খুনের পদ্ধতি দেখে তদন্তকারীদের অনুমান আততায়ী সম্ভবত ইলেট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ দক্ষ।
কীভাবে খুন?
মহিলা ও শিশুকে ক্লোড ডিঙ্ক অথবা খাবারের সঙ্গে প্রচুর পরিমানে স্লিপিং পিল দেওয়া হয়
দুজনকেই ২ মিলিগ্রামের ১০টি করে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল
ওষুধে দুজনেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে
এরপর দুজনকে শোওয়ানো হয় খাটের ওপর। সুইচ বোর্ডের থ্রি পিন প্লাগের সঙ্গে জোড়া হয় তামার তার। তারের এক প্রান্ত জড়িয়ে দেওয়া হয় মহিলার হাতের তামার বালার সঙ্গে। মহিলার হাতের ওপর রাখা হয় শিশুটির হাত। তামার তারের ওপর প্রান্ত জড়িয়ে দেওয়া হয় শিশুর হাতের বালার সঙ্গে। এভাবে তৈরি করা হয়েছিল একটা কমপ্লিট সার্কিট। সুইচ অন করতেই ২২০ ভোল্টের ইলেট্রিক শক লাগে দুজনের। হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে মারা যায় দুজনই। তদন্তকারীদের ধারণা, ফিউজ উড়ে যাওয়া আটকাতেই সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল। না হলে, ধরা পড়া যেত পারত আততায়ী। পরিকল্পনা মাফিক খুন করে ঠান্ডা মাথায় হোটেল ছাড়ে আততায়ী। হোটেলের CCTV-র ফুটেজ ও শম্ভুনাথ গুপ্তার ভোটার কার্ডের ছবিতে মিল রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন
শম্ভুনাথ গুপ্তা ২০ বছর আগে বিহার থেকে কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতা লাগোয়া এলাকাতেই থাকেন অভিযুক্ত শম্ভুনাথ। এখানেই তার আত্মীয়দেরও বাড়ি। দ্য এম্পায়ারের আগে শম্ভুনাথ নিউ মার্কেটের আরও একটি হোটেলে গিয়েছিলেন। ভাড়া বেশি হওয়ায় ওই হোটেলে থাকেননি তিনি। ওই হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজও হাতে এসেছে পুলিসের।