'আইনি সমস্যা'য় Firhad, পুরসভার কাজে নজরদারির জন্য কমিটি গড়ল নবান্ন
তিন সদস্যের কমিটির মাথায় মুখ্যসচিব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদাকাণ্ডে আপাতত গৃহবন্দি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই। ইয়াস মোকাবিলায় যেদিন ভার্চুয়ালি বৈঠক করলেন প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সেদিনই পুরসভার কাজে নজরদারির জন্য কমিটি গড়ল নবান্ন। স্রেফ নজরদারিই নয়, সরকারকে রিপোর্টও দিতে হবে কমিটির সদস্যদের। কারা রয়েছে এই কমিটিতে? মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও নগরায়ণ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি খলিল আহমেদ।
কেন এই সিদ্ধান্ত? নবান্ন থেকে জারি হওয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ, প্রশাসক বোর্ডের প্রধান আইনি সমস্যায় রয়েছেন। সেকারণে করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভার দৈনন্দিন কাজে নজরদারি চালাবে তিন সদস্য়ের কমিটি। কাজকর্ম কেমন চলছে? তা নিয়ে রিপোর্টও দেবে সরকারকে।
আরও পড়ুন: পার্সোনাল রিস্ক বন্ডে সই করে গোলপার্কের বাড়িতে গেলেন Sovan
প্রসঙ্গত, নারদা মামলায় আইনি লড়াই অব্য়াহত এখনও। ফিরহাদ হাকিম-সহ চার হেভিওয়েট নেতাকে জামিন দেওয়া নিয়ে ঐক্য়মত্যে পৌঁছতে পারেননি বিচারপতিরাই। নারদা মামলার নিষ্মত্তির জন্য গঠন করা হয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চ। এই বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন:Yaas মোকাবিলায় ভার্চুয়াল বৈঠকে Firhad,তত্পরতা তুঙ্গে কলকাতা পুরসভায়
সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঠিকই। তবে, আদালতের নির্দেশের আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে নারদ মামলায় অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট নেতাকেই। শুক্রবার চেতলার বাড়িতে ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। ব্যক্তিগত রিক্স বন্ডে সই করে এদিন SSKM থেকে ছাড়া পেয়েছেন আর এক অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তারপর প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগার হয়ে গোলপার্কের বাড়িতে ফিরলেন তিনি। এখনও হাসপাতালে মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার নবান্নে নির্দেশিকা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল