নারদ মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই

সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা কলকাতা সফরে আসার আগেই নারদ তদন্তের তদন্তকারী অফিসার সিবিআইয়ের সদর দফতর ও উচ্চ কর্তাদের একটি রিপোর্ট দেন।

Updated By: Jul 17, 2018, 06:11 PM IST
নারদ মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলার দ্রুত জাল গোটাতে চায় সিবিআই। দিওয়ালির আগেই তদন্তকারী অফিসারকে  চার্জশিট পেশের নির্দেশ।  দিল্লি সিবিআই সূত্রে খবর । নারদকাণ্ডে যখন তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যেই এত মতপার্থক্য, তখন কেন এই তত্পরতা?  উঠছে প্রশ্ন।

দুর্নীতির সঙ্গে কতটা জড়িয়ে রাজনীতি? নারদ মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে বারবার এই প্রশ্ন উঠেছে। এবারও লোকসভা ভোটের আগে নারদ কাণ্ডে সিবিআই নড়েচড়ে বসায় আরও একবার সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।

আরও পড়ুন: প্যান্ডেল ভাঙাকাণ্ডে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রুজু পুলিসের, পাল্টা আদালতে বিজেপিও

সিবিআই সদর দফতর সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের জয়েন্ট  ডিরেক্টরের নেতৃত্বে  একটি  উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই নারদ তদন্তের তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, নারদ তদন্তে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে ও চার্জশিট দেওয়া হবে। দ্রুত কাজ শেষ করে লিগাল সেলের সঙ্গে পরামর্শ করে দীপাবলির আগেই  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে  চার্জশিট দিতে বলা হয়েছে। আগামী বিশে জুলাই হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে , যেখানে সিবিআই জানাবে নারদকাণ্ডে তারা দ্রুত চার্জশিট পেশ করবে। নারদ মামলায় সিবিআইয়ের অন্দরে চূড়ান্ত মতপার্থক্য নজরে এসেছে বারবার।

আরও পড়ুন: কেন ভেঙে পড়ল মোদীর সভামঞ্চ? জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে ফাঁস হল আসল কারণ

সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা কলকাতা সফরে আসার আগেই নারদ তদন্তের তদন্তকারী অফিসার সিবিআইয়ের সদর দফতর ও উচ্চ কর্তাদের একটি রিপোর্ট দেন। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, শুরুতে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে বেশকিছু গলদ রয়ে গিয়েছিল। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ম্যাথু স্যামুয়েল অনেক তথ্যই গোপন করেছেন। তদন্তকে বিপথে চালিত করেছেন তিনি। ম্যাথু নিজেই এই ঘটনায় অন্যতম সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। সুতরাং আদালতে এই মামলা আইনি প্রক্রিয়া বা চার্জশিট দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে। রাকেশ আস্থানা কলকাতায় আসার পরে তদন্তকারী অফিসারকে তিরস্কৃত  হতে হয়। তার মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয় একজন অফিসারকে। যিনি গোটা তদন্ত মনিটরিং করবেন।

তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যে এই মতপার্থক্যের মাঝেই গত সপ্তাহের বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই  প্রশ্ন উঠছে, হঠাত করে কী এমন হল, যেখানে তড়িঘড়ি চার্জশিট পেশের নির্দেশ এল ?  গোটা বিষয়টিই রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

.