নিউটাউনে শিশু খুনে পাঁচদিনে রহস্যভেদ করল পুলিস

৫ দিনে ব্রেক থ্রু-

Updated By: Oct 18, 2015, 09:54 AM IST
নিউটাউনে শিশু খুনে পাঁচদিনে রহস্যভেদ করল পুলিস

ওয়েব ডেস্ক: ৫ দিনে ব্রেক থ্রু-

মহালয়ার দিন খুন হয় সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা প্রীতি নস্কর। কাকিমার বাড়ির ছাদে উদ্ধার হয় তার বস্তাবন্দি দেহ।  প্রীতির পরিবারের কেউই ঘটনায় জড়িত বলে গোড়া থেকেই নিশ্চিত ছিল পুলিস। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় রহস্যভেদ করল বিধাননগর কমিশনারেট।

কিন্তু কীভাবে খুন হল প্রীতি?
দুষ্টুমির শাস্তি খুন!
সেদিন সকালে পুজো হচ্ছে জানতে পেরে কাকিমার বাড়িতে হাজির হয় প্রীতি।  চঞ্চল স্বভাবই কাল হয় ছোট্ট শিশুর। খেলতে খেলতে প্রীতির হাতের ধাক্কায় আচমকাই উল্টে যায় পুজোর ঘট। পুলিস সূত্রে খবর, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তার ঠাকুমা আরতি নস্কর।  সপাটে দুটি চড় মারেন প্রীতিকে। মাটিতে পড়ে প্রায় বেহঁশ হয়ে যায় সে। যে হাতের ধাক্কায় ঘট উল্টেছিল, প্রীতির সেই হাতেরই তর্জনী ও কনিষ্ঠা  ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেন আরতি। যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে ওই শিশুর মুখ সিংহাসনের কাপড় দিয়ে চেপে ধরেন কাকিমা কবিতা। কিছুক্ষণ পর সেই ওয়েব কাপড় সরাতেই নেতিয়ে পড়ে ছোট্ট প্রীতি। তার দেহে প্রাণ নেই বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি তত্‍পর হন শাশুড়ি-বৌমা। প্রথমে একটি ব্যাগে দেহ ভরে রেখে দেন ডাইনিং স্পেসের পাশে। পরে সুযোগ বুঝে বস্তায় ভরে দেহ চালান করে দেন ছাদে।

ফরেনসিকেই পর্দা ফাঁস
পুলিসি জেরায় কিছুতেই অপরাধ কবুল করছিলেন না আরতি ও কবিতা নস্কর। শনিবার ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টেই রহস্যভেদের সূত্র মেলে।

খুনের দিন নিজেদের পরা শাড়ি-ব্লাউজ, সেই ব্যাগ ও ঘরের পাপোস পর্যন্ত ধুয়েছিলেন আরতিরা।
কিন্তু আরতির শাড়ি ও কবিতার ব্লাউজে রক্তের দাগ মোছেনি।
ঘরের একাধিক আসবাব, এমনকি পাপোসেও ধরা পড়ে রক্তের নমুনা।
ঘর মোছার পরেও শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ মোছেনি।
ফরেনসিক পরীক্ষায় তাও ধরা পড়ে।
প্রীতির লুকিয়ে রাখা জুতোজোড়াও শনিবার উদ্ধার হয় তার কাকিমার বাড়ি থেকেই পারিপার্শ্বিক এই সব প্রমাণের ভিত্তিতে চেপে ধরতেই শনিবার শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েন আরতি ও কবিতা। কিন্তু কেন এমন নৃশংস খুন?

প্রীতি বা তার মা, কেউই আরতি, কবিতাদের পছন্দের নন। প্রীতিরা দুই বোন ও তাদের মাকে রীতিমতো অপয়া বলেও মনে করতেন আরতি। কিন্তু শুধু সেই কারণেই কি এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড? উত্তর খুঁজতে ধৃত আরতি ও কবিতাকে আরও জেরা করতে চায় পুলিস।

 

 

.