বেসরকারি হাসাপাতালের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার বেহাল ছবি ২৪ ঘণ্টার গোপন ক্যামেরায়
কোথাও বেসমেন্টকে বদল করে তৈরি হয়েছে অফিস, রেস্তোরাঁ। কোথাও বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত ফ্লোর। এই চিত্র কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের। নেই স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার ডোর, ফায়ার অ্যালার্ম, মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। দমকল বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিয়ম ভাঙার ছবি ধরা পড়েছে ২৪ ঘণ্টার গোপন ক্যামেরায়।
কোথাও বেসমেন্টকে বদল করে তৈরি হয়েছে অফিস, রেস্তোরাঁ। কোথাও বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত ফ্লোর। এই চিত্র কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের। নেই স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার ডোর, ফায়ার অ্যালার্ম, মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। দমকল বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিয়ম ভাঙার ছবি ধরা পড়েছে ২৪ ঘণ্টার গোপন ক্যামেরায়।
পার্ক স্ট্রিটের মার্সি হাসপাতাল। পুরনো হাসপাতালের ভবনকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করতে বদলে ফেলা হয়েছে কাঠামো। এক ডজন জানালা ইটের পাঁচিল তুলে বেমালুম সিল করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাত আগুন লাগলে বন্ধ ধোঁয়া বেরনোর পথ। এখানেই শেষ নয়। বেসমেন্টকে বদলে ফেলা হয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসে। গোটা জরুরী বিভাগ ঘুরে চোখে পড়ল না একটিও অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র।
আমাদের দ্বতিয় গন্তব্য ছিল ভাগিরথী নেওটিয়া হাসপাতাল। হাসপাতালের আপার এবং লোয়ার বেসমেন্টকে ব্যবহার করা হয় অফিস হিসেবে। আমরি অগ্নিকাণ্ডের পর এই হাসপাতালকে সতর্ক করেছিল ফায়ার সেফটি অডিট কমিটি। দমকল কর্তাদের দাবি এরপর ভুল শুধরে নিয়েছে ভাগিরথী নেওটিয়া হাসপাতাল। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, বাস্তবে বদলায়নি কিছুই। হাসপাতাল চত্ত্বরেই খোলা প়ড়ে রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। সামান্য অসতর্কতা থেকে যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে হাসপাতাল।
এরপর আমরা যাই বেলোনা নার্সিংহোমে। সংকীর্ণ সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয় নার্সিংহোমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। বিকল্প একটি অস্থায়ী লোহার সিঁড়ি আছে। কিন্তু সেই সিঁড়ি বেয়ে বিভিন্ন ফ্লোরে ঢোকার দরজা সবসময়ই তালা বন্ধ। চাবি কার কাছে কেউ জানে না। ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স। দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই দিব্যি চলছে হাসপাতাল। দমকল কর্তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে নেই ফায়ার চেক ডোর, বৈদ্যুতিন তারের ডাক্ট। ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়া আটকানোর জন্য নেই মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। এসি ডাক্টে বসানো হয়নি ধাতব ডাম্পার।
অভিযোগ, একই রকম ভাবে দমকল বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে কোঠারি, কলম্বিয়া এশিয়া, আনন্দলোক, সুশ্রুতের মতো কলকাতার বহু নামি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম। দমকল কর্তারা বলছেন পরবর্তী পরিদর্শনে খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। কিন্তু তার আগেই যদি ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তার দায় কার? দুপক্ষই স্পিকটি নট।