মনোজের ইস্তফার প্রভাব পড়বে না শরিকি সম্পর্কে, ইঙ্গিত প্রণবের
মনোজ চক্রবর্তীর বিদ্রোহ এবং পদত্যাগকে কেন্দ্র যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, তা সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই বিষয়টি জোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। যদিও মনোজ চক্রবর্তীর উত্তরসূরীকে হবে তা স্পষ্ট করেননি প্রণববাবু। তবে প্রণববাবু দাবি করলেও, দুই শরিকের মধ্যে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে সেই ছবিটাও স্পষ্ট।
মনোজ চক্রবর্তীর বিদ্রোহ এবং পদত্যাগকে কেন্দ্র যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, তা সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই বিষয়টি জোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। যদিও মনোজ চক্রবর্তীর উত্তরসূরীকে হবে তা স্পষ্ট করেননি প্রণববাবু। তবে প্রণববাবু দাবি করলেও, দুই শরিকের মধ্যে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে সেই ছবিটাও স্পষ্ট।
রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে দিল্লিতে ফ্যাক্স পাঠিয়েছিলেন মনোজ চক্রবর্তী। কংগ্রেস হাইকমান্ড বহরমপুরের বিধায়কের সেই ইচ্ছা মেনে নিয়েছে। শুক্রবারই মনোজ চক্রবর্তীর পদত্যাগে সম্মতি দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। ইতিমধ্যেই এআইসিসি`র তরফে প্রদেশ কংগ্রেসকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মহাকরণে দাঁড়িয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই পরিষদীয় এবং ক্ষুদ্র শিল্প দফতর থেকে সরিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী করায় পদত্যাগের হুমকি দিয়ে মনোজবাবু বলেন, স্বৈরাচারি সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনি আর একদিনও থাকতে নারাজ। মন্ত্রী হিসেবে তিনি আর মহাকরণে ফিরবেন না বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মনোজ চক্রবর্তী। `বিদ্রোহী` নেতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দীপা দাসমুন্সি ও দলের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর ইস্তফাদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি। হাইকম্যান্ড চেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন পর্যন্ত ধীরে চলো নীতিতে চলুক প্রদেশ নেতৃত্ব। কিন্তু পদত্যাগের যে ফ্যাক্স পাঠিয়েছিলেন মনোজ চক্রবর্তী তা অবশেষে মেনে নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে মনোজবাবু বলেন, মাথা কাটা গেলেও মাথা নোয়াবো না।
আর এই সম্মতিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দুই শরিকের টানাপোড়েন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ এনে অধীর চৌধুরীর অনুগামী নেতা মনোজ চক্রবর্তী মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন, দশ জনপথবাসিনীর তরফে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মঞ্জুরি সেই কার্যত অভিযোগগুলিকেই স্বীকৃতি দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সব মিলেয় মনোজ চক্রবর্তীর এই পদত্যাগ এবং তার অনুমোদনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে একরাশ জল্পনা। তৃণমূলের সরকারকে স্বৈরাচারী বলে বেরিয়ে আসার পরও প্রণব মুখোপাধ্যায় অথবা এআইসিসির কোনও শীর্ষ নেতাকে একবারের জন্য কিন্তু বলতে শোনা গেল না, প্রাক্তন এই মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে তাঁরা একমত নন। এই নীরবতা কিসের ইঙ্গিত, সে বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি দিল্লির সমীকরণ মাথায় রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুষ্ট করতেই যে প্রণববাবুর এই আসরে নামা তাও একপ্রকার স্পষ্ট।