Kal Baisakhi: ১৬ বছর পর কালবৈশাখীহীন চৈত্র দেখল বাংলা
শুক্রবারের মধ্যে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৬ বছরে এই প্রথম। চৈত্র মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের মুখ দেখল না বঙ্গবাসী।
মার্চ-এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী কেন হল না?
১. উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ভারত জুড়ে প্রবল গরম, এর অন্যতম কারণ।
২. গরমকালে “লা নিনা” র প্রভাব থাকে। যার ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে
৩. উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বায়ুর চাপ থাকায় পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তরের দিকে চলে গিয়েছে। তাই চিন, সিকিমের মতো অংশে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু ভারতের একটা বিস্তীর্ণ অংশ এখনও শুকনোই থেকে গিয়েছে।
৪. এর আগে ২০০৬ সালে এমন অবস্থা হয়েছিল। গোটা মার্চ মাসে কালবৈশাখী হয়নি। ১৪ এপ্রিল ঝড়বৃষ্টি হয়। এবারের পরিস্থিতি সেই টাইমলাইনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে
৫.সাধারণত কলকাতায়, মার্চ মাসে গড়ে একবার এবং এপ্রিল মাসে গড়ে চার থেকে পাঁচবার ঝড়বৃষ্টি হয়। মে মাসে গড়ে তিনবার ঝড়বৃষ্টি হয়।
৬. এবার এপ্রিল মাসে শেষ হতে চললেও কলকাতায় সেই সংখ্য়া শূন্য।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের উপর দুটো নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। একটি পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এবংঅন্যটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছত্তিশগঢ় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অক্ষরেখার ফলে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির অনুকূল আবহাওয়া রয়েছে।
হাওয়া অফিস বলছে, এর ফলে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া দিতে পারে। ২০ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।