সারা দেশে নিষিদ্ধ ম্যাগিকে ক্লিনচিট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
যখন সারা দেশে ম্যাগি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র, তখন এরাজ্যে ম্যাগিকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছে সরকার। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধিদের পাল্টা প্রশ্ন, কি স্বার্থে ম্যাগিকে ছাড়পত্র দিচ্ছে রাজ্য? দাবি, পাল্টা দাবির মাঝে চূড়ান্ত ধোঁয়াশায় সাধারণ মানুষ। ম্যাগি খাওয়া যাবে কি এখানে? সে প্রশ্নের জবাব নেই সাধারণ মানুষের কাছে। বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটিকে দু মিনিটে ম্যাগি দেওয়া যাবে তো? ধোঁয়া ওঠা দু মিনিট নুডলসের জমানা কি তবে শেষ? এসব প্রশ্নের মাঝেই ম্যাগিকে কার্যত ক্লিনচিট দিল রাজ্য।
ব্যুরো: যখন সারা দেশে ম্যাগি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র, তখন এরাজ্যে ম্যাগিকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছে সরকার। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধিদের পাল্টা প্রশ্ন, কি স্বার্থে ম্যাগিকে ছাড়পত্র দিচ্ছে রাজ্য? দাবি, পাল্টা দাবির মাঝে চূড়ান্ত ধোঁয়াশায় সাধারণ মানুষ। ম্যাগি খাওয়া যাবে কি এখানে? সে প্রশ্নের জবাব নেই সাধারণ মানুষের কাছে। বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটিকে দু মিনিটে ম্যাগি দেওয়া যাবে তো? ধোঁয়া ওঠা দু মিনিট নুডলসের জমানা কি তবে শেষ? এসব প্রশ্নের মাঝেই ম্যাগিকে কার্যত ক্লিনচিট দিল রাজ্য।
সারা দেশে ম্যাগি উত্পাদন, বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা FSSAI। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ম্যাগির পরীক্ষা চলবে।
রাজ্য সরকার যখন কার্যত ম্যাগিকে ক্লিনচিট দিচ্ছে, তখনই বাড়তি সক্রিয় কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার ভেজাল প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র পারিষদ খাদ্য অতীন ঘোষ। যদিও এবিষয়ে রাজ্য সরকারকেই সমর্থন করছেন তিনি।
ম্যাগি খাওয়া যাবে তো? তাহলে ম্যাগি স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ তো? এ প্রশ্নের জবাব অবশ্য স্পষ্ট করে দিতে পারছেন না মেয়র পারিষদও।
রাজ্য সরকার আর পুরসভার ম্যাগিকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরেও কাটছে না ধোঁয়াশা। উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
প্রশ্ন এক. কেন মাত্র পাঁচটি পরীক্ষা করাল রাজ্য সরকার?
প্রশ্ন. দুই . কেন শুধুমাত্র ২টি ব্যাচ কেন পরীক্ষা করালো পুরসভা ?
প্রশ্ন তিন. শুধুমাত্র মার্চ, এপ্রিল, মে মাসের নমুনা কেন পরীক্ষা করানো হল?
প্রশ্ন. চার. পরীক্ষা বলছে ম্যাগি নিরাপদ। তাহলে পুরকর্তাদের বৈঠক ডেকে হোটেলে, দোকানে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন?
রাজ্যের ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও।
আর এই সব তরজার মাঝে, সাধারণ মানুষ রয়ে গেছেন একই তিমিরে। ম্যাগি খাওয়া যাবে কি যাবে না, সেবিষয়ে স্পষ্ট উত্তর পেলেন না রাজ্যের মানুষ।