নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন

Updated By: Dec 10, 2015, 09:39 AM IST
 নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন

 

ওয়েব ডেস্ক: নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মী আবাসানে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত বছর তিরিশের শঙ্কর মাঝি ওই আবাসনেই থাকতেন। খুনের ঘটনায় পাপ্পু রাম, দীপক কুমার এবং সঞ্জয় মাহাত নামে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিনজনই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ঘটনার পর থেকে তারা ফেরার। তিনজনকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে অশোক ঝা নামে একজনকে আটক করেছে পুলিস।

অভিযোগ, বুধবার রাতে হাসপাতাল চত্বরে ক্লাবের মধ্যে মদ্যপানের আসর বসেছিল। সেসময় শঙ্কর মাঝির সঙ্গে বচসা বেধে যায় অভিযুক্ত পাপ্পু রাম এবং দীপক কুমারের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ি তারপর মদ্যপ অবস্থায় শঙ্করকে টানতে টানতে ক্লাবের বাইরে নিয়ে যায় পাপ্পু, দীপক এবং সঞ্জয়। মেরামতির কাজ চলায় হাসপাতালের মেইন গেট ছিল বন্ধ। রাতের অন্ধকারে সেখানেই শঙ্করের মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত ঘোষণা করেন। এখবরে কর্মচারী সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসায় উত্তেজনা ছড়ায়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে য়ায়। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাত থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।

ঠিক কি কারণে বেঘরে মরতে হল শঙ্করকে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মদ্যপান ঘিরে বচসার জেরে খুন? নাকি পুরনো শত্রুতার রেশ থেকেই পিটিয়ে মারা হল হাসপাতালের এই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে, খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে যেটা জানা গিয়েছে তা হল হাসপাতালের মধ্যে ছিল কর্মচারীদের দুটি গোষ্ঠী। একটি হল পঞ্চান্ন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অরুণ দাসের অনুগামী। অন্যটি  সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রঞ্জন সিং নামে হাসপাতাল কর্মীর। বর্তমানে তিনি আংশিক বহিষ্কৃত। অভিযুক্ত তিনজনই সেই গোষ্ঠীর লোক ছিল বলে অভিযোগ। ফলে বুধবারের রাতের মর্মান্তিক ঘটনায় রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।

.