Price Rise: অগ্নিমূল্য বাজার, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারকে তোপ বিরোধী দলনেতার
ক্রেতারা বলছেন যে কোনও কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সামান্য আলু এবং পেয়াজই কিছুটা সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, বাকি সবই সাধ্যের বাইরে। অনেক কম পরিমাণে জিনিস কিনছেন তারা। একই ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাছের ক্ষেত্রেও। রবিবারের সকালে মানিকতলা বাজার যেরকম গমগম করত তার তুলনায় আজ অনেকটাই ফাঁকা এই বাজার।
অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: শাকসবজি থেকে মাছ মাংস মাংস প্রায় সব কিছুরই দাম বেড়েছে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে। তবে কলকাতার অন্যতম বড় বাজার মানিকতলায় জিনিসপত্রের দাম রীতিমতো ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচা লঙ্কা প্রতি কেজির দাম ৩৫০ টাকা। টমেটো দেড়শ টাকা প্রতি কেজি এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি সব কিছুরই দাম গত এক মাসের তুলনা অনেক বেশি বেড়েছে।
একই ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাছের ক্ষেত্রেও। রবিবারের সকালে মানিকতলা বাজার যেরকম গমগম করত তার তুলনায় আজ অনেকটাই ফাঁকা এই বাজার।
ক্রেতারা বলছেন যে কোনও কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সামান্য আলু এবং পেয়াজই কিছুটা সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, বাকি সবই সাধ্যের বাইরে। অনেক কম পরিমাণে জিনিস কিনছেন তারা।
একই সঙ্গে তাদের প্রশ্ন প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন এই লাগামহীন দামের বিরুদ্ধে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, যে যথেষ্ট পরিমাণে সাপ্লাই না থাকার ফলেই এই দাম বৃদ্ধি। প্রচন্ড গরম গিয়েছে কয়েক দিন আগেই এবং তার সঙ্গে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। সেটাও এই দাম বৃদ্ধির আরও একটা কারণ। সব মিলিয়ে দ্রুত এই দামের লাগামহীন বৃদ্ধির সুরাহা যদি না হয় সেই ক্ষেত্রে রীতিমতো টান পড়তে চলেছে মধ্যবিত্তের হেঁসলে।
পাশপাশি রবিবার সকালে এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এল্টি পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তিনি। সঙ্গে একই পোস্টে বিভিন্ন দ্রব্যের বাজারদর উলে ধরেছেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, "আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?"
আরও পড়ুন: Sovan Chatterjee and Ratna Chatterjee: আদালতে তীব্র বাদানুবাদ শোভন-রত্নার, চুপ থাকলেন না বৈশাখীও!
তিনি আরও লেখেন, ‘এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল।
অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।‘
এই পোস্টেই বিভিন্ন দ্রব্যের বর্ধিত দাম সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ‘জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ - ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত। রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল।‘
প্রশাসনকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, ‘প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে "টাস্ক ফোর্স" গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না। আর লোক দেখানো পদক্ষেপ গ্রহণ করে আনাজের দাম শুধুমাত্র "সুফল বাংলা" বিপণিতে কিছুটা কমিয়ে দিলে তার প্রভাব ৫ শতাংশ লোকের ওপরেও পড়ে না।‘