ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা চলছিল, ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ মহাশ্বেতা দেবীর
বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। তাঁর আরও অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক ওই ব্যক্তি সরকারের কাছে মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। ছেলে নবারুণের সঙ্গে গণ্ডগোলের জন্যও ওই ব্যক্তিকেই কাঠগড়ায় তুললেন প্রবীণ সাহিত্যিক। শেষ কয়েকবছর মহাশ্বেতাদেবী যখনই কিছু বলেছেন তাঁকে ঘিরে থাকতে দেখা গেছে অনুগামীদের। শনিবার তাঁর নাতিকে পাশে বসিয়ে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ করতে শোনা গেল বিশিষ্ট সাহিত্যিককে।
কলকাতা: বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। তাঁর আরও অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক ওই ব্যক্তি সরকারের কাছে মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। ছেলে নবারুণের সঙ্গে গণ্ডগোলের জন্যও ওই ব্যক্তিকেই কাঠগড়ায় তুললেন প্রবীণ সাহিত্যিক। শেষ কয়েকবছর মহাশ্বেতাদেবী যখনই কিছু বলেছেন তাঁকে ঘিরে থাকতে দেখা গেছে অনুগামীদের। শনিবার তাঁর নাতিকে পাশে বসিয়ে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ করতে শোনা গেল বিশিষ্ট সাহিত্যিককে।
কি সেই অভিযোগ? নাতির দাবি,
অভিযোগ ১
বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অধিকাংশ সময়ে তাঁকে অচৈতন্য করে রাখা হত
অভিযোগ ২
নবারুণ ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পরও তাঁকে এই বাড়িতে বেশিক্ষণ থাকতে দেওয়া হয়নি
অভিযোগ ৩
সরকারের কাছে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে জমি নেওয়া হয়েছিল, সেখানেই তৈরি হয়েছে সাহিত্যিকের নামে ট্রাস্ট
অভিযোগ ৪
পরিবারের সঙ্গে যাতে সুসম্পর্ক তৈরি না হয় তারজন্য সবসময় চেষ্টা চালানো হয়েছে
সরকারী জমিতে তৈরি হওয়া ট্রাস্টের বাড়িতে একাই থাকতেন মহাশ্বেতা দেবী। দিন সাতেক আগে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন নাতি। তারপরই একাধিক গুরুতর অভিযোগ প্রবীণ সাহিত্যিকের গলায়।
তৃণমূল সরকারকে কখনও ফ্যাসিস্ট বলে আক্রমণ করেছেন আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে। পরিবারের দাবি, অনেক বিবৃতিরই তাঁর নিজের নয়।