পাইকপাড়ায় প্রৌঢ় দম্পতি খুন: আটক দুই নিরাপত্তাকর্মী, খোঁজ চলছে বাপ্পার

পাইকপাড়ায় প্রৌঢ় দম্পতি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করল পুলিস। এই মুহূর্তে চিৎপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে। বাপ্পার খোঁজেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ইন্দ্রলোক আবাসনের তিন নিরাপত্তারক্ষীকেও।

Updated By: Jul 17, 2015, 03:51 PM IST
পাইকপাড়ায় প্রৌঢ় দম্পতি খুন: আটক দুই নিরাপত্তাকর্মী, খোঁজ চলছে বাপ্পার

ওয়েব ডেস্ক: পাইকপাড়ায় প্রৌঢ় দম্পতি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করল পুলিস। এই মুহূর্তে চিৎপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে। বাপ্পার খোঁজেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ইন্দ্রলোক আবাসনের তিন নিরাপত্তারক্ষীকেও।

গতকাল পাইকপাড়ার একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয়  প্রৌঢ় দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। প্রথম থেকেই পুলিসের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন দম্পতির পরিচারিকা পূর্ণিমার স্বামী বাপ্পা। খোঁজা হচ্ছিল পূর্ণিমাকেও। গতকাল থেকে বেপাত্তা ছিল দু'জনেই।

তাদের খোঁজে আজ নন্দীগ্রামের বাড়িতেও যায় পুলিস। কিন্তু সেখানেও তাদের খোঁজ মেলেনি। গতকালই বাপ্পা তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিল আগামী দুদিন থাকবে না। কিন্তু কোথায় যাবে সে বিষয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। বাপ্পার ফোন থেকে গতকাল দুপুর দুটোয় তার স্ত্রী পূর্ণিমার মোবাইলে শেষবার ফোন যায়। তারপর থেকে দুজনের আর কোনও হদিস মেলেনি।

পাইকপাড়ার একটি আবাসনের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয়েছিল প্রৌঢ় দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। বাইরের ঘর থেকে মিলেছিল গৃহকর্তা প্রাণগোবিন্দ দাসের রক্তাক্ত দেহ। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ভিতরের ঘরে খাটের উপর মেলে স্ত্রী রেণুকা দাসের দেহ। তাঁর গলায় ছিল ধারাল অস্ত্রের আঘাত। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান খুন হয়েছেন এই দম্পতি। পাইকপাড়ার ইন্দ্রলোক আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। দুজনেই অধ্যাপনা করতেন। নিহত প্রাণগোবিন্দ দাস অধ্যাপনা করতেন বর্ধমান বিশ্বিদ্যালয়ে। রেণুকা দাস ছিলেন সরোজীনি নাইডু কলেজের অধ্যাপিকা। এই খুনের তদন্তেই বাপ্পাকে খুঁজছে পুলিস।

.