Cryptocurrency: ক্রিপ্টোকারেন্সির নামে ভুয়ো এক্সচেঞ্জের ফাঁদ, ২৩ লাখ খোয়ালেন পার্ক সার্কাসের যুবক
Cyber Crime: ভুয়ো এক্সচেঞ্জ তৈরি করে 'গ্রোথ' দেখিয়ে ফাঁদে ফেলাটাই আসল ছক এই সাইবার জালিয়াতদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ৬ হাজার বিনিয়োগ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মাত্র তিন দিনে। অল্প সময়ে এত বিপুল পরিমাণ রিটার্ন দেখে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে (Cryptocurrency) বিনিয়োগ শুরু করেন পার্ক সার্কাসের (Park Circus) বাসিন্দা এক যুবক। তাও নিজের যাবতীয় ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে। কিন্তু পুরোটাই যে প্রতারণার (Cyber Crime) ফাঁদ ছিল, তা যখন বুঝতে পারলেন, ততক্ষণে ২৩ লক্ষ টাকা বেহাত হয়েছে গিয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে শুধু ওই যুবক-ই নয়, পুলিসের বক্তব্য ক্রিপ্টোকারেন্সির নামে খোলা ভুয়ো এক্সচেঞ্জের ফাঁদে পড়ে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। যাতে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুলিসও (Kolkata Police)।
কী এই ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency)?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে ব্লকচেন প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Coin)। বিদেশের সঙ্গে সঙ্গে এখন এদেশেও ডানা মেলেছে এই ডিজিটাল কারেন্সি। অনেক মোটা অঙ্কের টাকা রিটার্ন (Cryptocurrency Trading) পেতে এই ডিজিটাল কারেন্সি কিনছেন অনেকে। কিন্ত এখানেও প্রতারণা ফাঁদ পেতেছে সাইবার অপরাধীরা। ক্রিপ্টোকারেন্সির নামে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে। যে প্রতারণা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এই শহরের লোকজনও।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত পার্ক সার্কাসের (Park Circus) ওই যুবক জানান, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কাছে একটি লিঙ্ক আসে। যেখানে ক্রিপ্টো ট্রেডিং (Cryptocurrency Trading) হয়। ওই গ্রুপে অন্ততপক্ষে ২৫০ জন সদস্য রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। তাতেই তিন দিনে ৩ হাজার টাকা বেড়েছে দেখা যায়। তার পরই আরও টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করেন তিনি। ওই গ্রুপে একজন মার্কিনি এজেন্টের কনট্যাক্টও দেওয়া হয়। যে এজেন্ট ডবল রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই ফাঁদে পা দিয়েই সব মিলিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা খোয়া যায় ওই যুবকের। এমনটাই বিধাননগর সাইবার থানাকে জানিয়েছেন তিনি।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়ো এক্সচেঞ্জ তৈরি করে গ্রোথ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলাটাই আসল ছক এই সাইবার জালিয়াতদের। পরপর এধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কলকাতা পুলিসও। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ত্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) কেনাবেচা এখনও বৈধতা পায়নি। লেনদেনও হয় ডার্ক ওয়েবে। ফলে কোন দেশে কোথা থেকে এধরনের প্রতারণা হচ্ছে তার অনেক সময় হদিশ পাওয়া যায় না। ফলে এধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের আগে সতর্ক থাকার পরামার্শ দিচ্ছেন পুলিস ও সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, Deganga Military Camp: রাত হলেই কেউ কাঁদছে, কেউ নাচছে! দেগঙ্গার 'ভূত বাংলো' ঘিরে আতঙ্ক