মমতা সরকারের মধ্যে পার্থ আমার পছন্দের: রাজ্যপাল
"মমতা সরকারের মন্ত্রিসভার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমার খুব পছন্দ।" বুধবার প্রকাশ্যে সেকথা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: "মমতা সরকারের মন্ত্রিসভার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমার খুব পছন্দ।" বুধবার প্রকাশ্যে সেকথা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে রাজ্যপালের মন্তব্য
অতি সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের টুইট যুদ্ধের এ এক অন্য দিক। রাজ্যপালের মুখে মমতা সরকারেরই মন্ত্রী সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য। রাজ্যপাল বললেন, "মমতা সরকারের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমার খুব ভালো লাগে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই ওঁর সঙ্গে কথা হয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই একরকম ভাবে চিন্তা করি। মানুষটাকে আমার খুব পছন্দ। আমার বন্ধু ওঁ।"
'বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য় নিয়োগ বিতর্ক বোতলবন্দি করেছি'... মন্তব্য রাজ্যপালের
রাজ্যপালের এদিনের বক্তব্যে কোথাও কোনও বিরোধিতা, সমালোচনা কিংবা মমতা সরকারকে খোঁচা দেওয়া উক্তি ছিল না। বরং উল্টে রাজ্যপালই বললেন, "গত কয়েকদিন শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পর, সেই ক্ষততে ব্যান্ডেজ করেছি। এই বিষয়ে ঢাকনা আটকে দিয়েছি, আর কোনও বিতর্ক মাথাচাড়া দেবে না। আমি গত কয়েকদিনে তিন বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি এবং ওঁ একইরকমভাবে ভাবছি। আমি ওঁর শুভবুদ্ধির ওপর ভরসা রাখি। আশা করছি শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।"
বিতর্কের প্রেক্ষাপট
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যা নিয়ে ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের সূত্রপাত। সেখানে তিনি বলেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৯-এ ধারার এক নম্বর উপধারার আইন মেনে তিনি অধ্যাপক চন্দ্রকে সহ-উপাচার্য পদে বসিয়েছেন। কিন্তু পছন্দমতো ব্যক্তিকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করে শিক্ষা দফতর। তা নিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধে।
করোনা সংক্রান্ত বিষয়
কোভিড নিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এবার তিনিই বললেন, "কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসার পর থেকে করোনা সংক্রান্ত যথাযথ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।"
বাস-পরিবহণ নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য
পাশাপাশি লকডাউনে ছাড়ের পর নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মানুষ কীভাবে কর্মস্থলে পৌঁছবেন তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বাস পরিবহণ যাতে ঠিকঠাক হয়, সে ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা বলেছি।"