আজ রায় পাড়ুই মামলার, গোটা রাজ্যের নজর হাইকোর্টে

আজ হাইকোর্টে  পাড়ুই মামলার রায় ঘোষণা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে  বীরভূমের পাড়ুইয়ে খুন হন সাগর ঘোষ।  অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এর পরেই সঠিক তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। আজ সেই মামলারই  রায় দেবেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।

Updated By: Sep 24, 2014, 08:48 AM IST
আজ রায় পাড়ুই মামলার, গোটা রাজ্যের নজর হাইকোর্টে

ওয়েব ডেস্ক: আজ হাইকোর্টে  পাড়ুই মামলার রায় ঘোষণা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে  বীরভূমের পাড়ুইয়ে খুন হন সাগর ঘোষ।  অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এর পরেই সঠিক তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। আজ সেই মামলারই  রায় দেবেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।

পাড়ুই মামলার শুরু থেকেই  প্রশ্নে পুলিসের ভূমিকা । পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে গতবছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় সাগর দত্তের  পরিবার। মামলা  করা হয় বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জীর এজলাসে। নিহতের স্ত্রীকে এজলাসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি। এর পরেই  ২৪ ডিসেম্বর পুলিসের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেসময় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি সেসময় মামলাকারির আইনজীবীর উদ্দেশ্য সহাস্যে বলেছিলেন,

মামলা এরপর আসে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে।  সিআইডি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে গত ১৪ই ফ্রেবরুয়ারি ডিজির নেতৃত্বে সিট গড়ে দেন বিচারপতি দত্ত। কিন্তু মাত্র দুমাসেই সিটের কাজে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ডিজির ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন...

ডিজি কি ভয় পাচ্ছেন? একজন এসআই এর থেকে ভালো কাজ করতে পারেন। সিবিআই তদন্তের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

পরের শুনানির দিনই তিনি ভরা এজলাসে অনুব্রতর বিতর্কিত বক্তব্যের সিডি চালিয়ে দেখেন। নির্দেশ দেন ডিজিকে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। কিন্তু তার পর দিনই রাজ্যের তরফে এর বিরোধিতা করে ডিভিসন বেঞ্চে আপিল করা হয়। তখনকার মতো স্থগিত হয় ডিজির হাজিরা। তবে এরপর জুন মাসেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে যান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
মামলা এবার যায় বিচারপতি হরিশ ট্যন্ডনের এজলাসে। ততদিনে সিউরি আদালতে পেশ করা চার্জসিটে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু সেখানেও এড়ানো যায়নি পুলিসের ভূমিকা। ডিজি কেন তড়িঘরি সিউরি আদালতে চার্জসিট পেশ করলেন তাই নিয়েই তিনি প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এমাসেই ফের হাইকোর্টে ডেকে পাঠানো হয় ডিজিকে। যদিও এজলাসে দাঁড়িয়েও অনুব্রতকে ক্লিনচিট দেন ডিজি।
পাড়ুই মামলার পরতে পরতে ছিল বিতর্ক। মামলা যত এগিয়েছে ততই সেই বিতর্ক বেড়েছে। মামলার রায়ে দোষীরা শাস্তি পাবে বলে একদিকে যেমন তাকিয়ে নিহতের পরিবার। তেমনই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আদালত এবার ক্লিন চিট দেয় কিনা তা নিয়েও থাকবে কৌতুহল।

.