উড়ো ফোনের তামাশায় প্রাণ গেল ৫৭ বছরের পৌঢ়ের
নিছকই উড়ো ফোনের তামাশা। অপহরণের ভুয়ো গল্প। তার জেরে হৃদরোগে প্রাণ গেল ৫৭ বছরের প্রৌঢ়ের। বালিগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা। আপাতত যার ঠাঁই পুলিস লক-আপে। আর যার প্রাণ গেল, তার পরিবার শোকে পাথর। এ ধরণের তামাশার চরম মাশুল দিল তারা।
নিছকই উড়ো ফোনের তামাশা। অপহরণের ভুয়ো গল্প। তার জেরে হৃদরোগে প্রাণ গেল ৫৭ বছরের প্রৌঢ়ের। বালিগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা। আপাতত যার ঠাঁই পুলিস লক-আপে। আর যার প্রাণ গেল, তার পরিবার শোকে পাথর। এ ধরণের তামাশার চরম মাশুল দিল তারা।
১৬ মে বিকেল সাড়ে চারটে। বালিগঞ্জের মে ফেয়ার রোডের বাসিন্দা, পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ি ৫৭ বছরের পরমজিত সিং জাগ্গির কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে। নিজেকে গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা দাবি করে ওই ব্যক্তি তাকে জানায়, তার ছেলে অমরদীপ সিং-কে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ ৭ লক্ষ টাকাও দাবি করে অরুণ গিরি নামের একত্রিশ বছরের ওই যুবক। ঘটনাচক্রে সে সময় কর্মসূত্রে সিঙ্গাপুর ছিলেন অমরদীপ। আন্তর্জাতিক রোমিং না থাকায় তাকে ফোনেও পাননি বাবা । ছেলের অপরহণ হয়েছে এই ধরণায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন পরমজিত। বেলভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অমরদীপের কাছে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হয় বালিগঞ্জ থানা। গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে অরুণ গিরির। শুক্রবার রাতে সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে বালিগঞ্জ থানার বিশেষ বাহিনী। ধৃতকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিস। পুলিস সূত্রের দাবি, যারা নিছক মজা করার জন্য এ ধরণের ফোন করেন, অরুণ গিরির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক তারা।