'বিপ্লবী ভারত' থেকে আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম- একুশের আগে বাঙালির আবেগে শান মোদীর
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি বলেও মনে করিয়ে দেন মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মোদী গো ব্যাক।' বিক্ষোভ চলছে ধর্মতলায়। শহরের বিভিন্নপ্রান্তে প্রতিবাদ। ঠিক তখনই কারেন্সি ভবনে বাঙালিয়ানার আবেগে শান দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কারেন্সি ভবনে অতীতচারণা করলেন। আরও একবার মনে করালেন,বিবেকানন্দের টানে ছুটে এসেছিলেন এই শহরে। তাঁর ভাষণজুড়ে রইল বাংলা ও বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি। একইসঙ্গে একাধিক ঘোষণাও করলেন মোদী।
ভারতের অন্যতম প্রাচীন জনপদ কলকাতা। অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে একটা সময় পর্যন্ত রাজধানীর শহর। কলকাতার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে স্থাপত্য। দেশের সাংস্কৃতিক রাজনীতিও। তেমনই কলকাতা জানে প্রতিবাদ করতে। এদিনও মোদীর সফর ঘিরে গর্জে উঠেছে কলকাতা। পথে নেমেছে ছাত্রছাত্রী থেকে নাগরিক সমাজ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্কে কোনও কথা বললেন না প্রধানমন্ত্রী। বরং ২০২১ সালের আগে হয়ে উঠলেন বাংলাপ্রেমী। কারেন্সি হলে নমো বলেন,''কলকাতাকে নতুন রং ও রূপে দুনিয়ার সামনে আনা হচ্ছে। ৪টি ঐতিহ্যশালী ভবন বেলভেডিয়ার হাউস, ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং, মেটকাফ হাউস ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। বেলভেডিয়ার হাউসকে আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি।''
ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামকে আন্তর্জাতিকস্তরে গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ভারত সরকারের টাঁকশালে হতে চলেছে কয়েন সংগ্রহশালা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একটি গ্যালারি হতে চলেছে বিপ্লবী ভারত মিউজিয়াম।। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ, ক্ষুদিরাম বসু, দেশবন্ধু, বাঘাযতীন, বিনয় বাদল দীনেশের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জায়গা হবে সেখানে।''
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি বলেও মনে করিয়ে দেন মোদী। বলেন,''স্বাধীনতার পরে যা হয়েছে নেতাজিকে নিয়ে তা আমরা সবাই জানি। মানুষের ভাবনার সম্মান করে নেতাজির নামে লালকেল্লায় মিউজিয়াম করা হয়েছে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ নেতাজির নামে করা হয়েছে। লালকেল্লা থেকে পতাকা তুলেছি।'' ২০২২ সালে সমাজসংস্কারক রামমোহন রায়ের ২৫০ তম জন্মবার্ষিকী। একবছর ধরে উদযাপন করা হবে বলে ঘোষণা করলেন মোদী। উদযাপিত হবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনও।
আরও পড়ুন- মেলালেন প্রধানমন্ত্রী! কারেন্সি ভবনে পাশাপাশি পুরনো সতীর্থ মুকুল-ফিরহাদ