প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার 'প্রতিবাদের শহরে' ১১ জানুয়ারি রাত কাটাতে চলেছেন মোদী

২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Jan 7, 2020, 08:17 PM IST
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার 'প্রতিবাদের শহরে' ১১ জানুয়ারি রাত কাটাতে চলেছেন মোদী

নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার, ১১ জানুয়ারি কলকাতায় ২ দিনের সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে তাঁর রয়েছে একাধিক সফর। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সম্ভবত রাত্রিবাস করতে চলেছেন নমো। শনিবার বিকেল ৫টায় দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করতে চলেছে তাঁর উড়ান। পরেরদিন নেতাজি ইন্ডোরে থাকবেন পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে। সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

১১ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় রাজ্যে পা রাখবেন নরেন্দ্র মোদী। ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে ডালহৌসির ওল্ড কারেনসি ভবনে যাবেন। সন্ধে ৭টায় মিলেনিয়াম পার্কে হাওড়া ব্রিজে নতুন 'আলো ও শব্দ' ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৭.৪৫ মিনিটে যাবে বেলুড়মঠ। সেখান থেকে রাত ৮.৩০টায় আসবেন রাজভবনে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন জগদীপ ধনখড়। নৈশভোজে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর প্রথমবার শহরে রাত কাটাবেন মোদী।   

১২ জানুয়ারি, রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল। আরও অনেকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা। সকাল ১১টায় পোর্টট্রাস্টে ১৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে একমঞ্চে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও। বাংলায়  NRC, CAA নিয়ে জোরদার আন্দোলন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে স্থগিত করেছেন NPR। লোকসভা ভোটের পর দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই আরও বেড়েছে। ফলে মোদী-মমতার একমঞ্চে থাকা তাত্পর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত অনেকের। পোর্টট্রাস্টের অনুষ্ঠান শেষে দিল্লিতে ফিরে যাবেন নরেন্দ্র মোদী।    

সদ্য কর্ণাটকে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়েছে 'GoBackModi'।  কলকাতাতেও তাঁকে ঘিরে কালো পতাকা ও বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে বাম-কংগ্রেস।  শনিবার মহম্মদ সেলিম  বলেছিলেন, ''বঙ্গাল ভি বোলেগা মোদী গো ব্যাক। কলকাতায় মোদীজি ১০-এই আসুন বা ১১ তারিখ কালো পতাকা দেখানো হবে।'' বিরোধীরা কালো পতাকা দেখালে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় বিজেপিও। দলের জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার পাল্টা দিয়েছেন,''সিপিএমের কে আছে? ওদের মুখই তো কালো হয়ে গিয়েছে। কালো পতাকার কী দরকার? কালো পতাকা দেখানো হলে গা-হাত কালো হয়ে যেতে পারে। হঠকারী কাজ থেকে দূরে থাকা ভালো।'' ফলে প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে বাঁধতে পারে ধুন্ধুমার।

আরও পড়ুন- মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং? পরীক্ষা হোক, ঐশীর আঘাত নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের

.