প্রশাসনের চাপ উপেক্ষা করে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে গোয়েন্দা দফতর
যে সাহস এবং যেভাবে পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের তদন্ত করেছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা দফতর তা সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু যেভাবে তদন্তের মাঝপথে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেভাবেই নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আসল সত্য প্রকাশিত হওয়ায়। যে বা যাঁরা এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা কেউ শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে অবশ্যই চাপ তৈরি হয়েছিল। সেই চাপ আরও বেড়ে যায় নগরপালের বক্তব্যের পর।
যে সাহস এবং যেভাবে পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের তদন্ত করেছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা দফতর তা সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু যেভাবে তদন্তের মাঝপথে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেভাবেই নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আসল সত্য প্রকাশিত হওয়ায়। যে বা যাঁরা এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা কেউ শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে অবশ্যই চাপ তৈরি হয়েছিল। সেই চাপ আরও বেড়ে যায় নগরপালের বক্তব্যের পর।
শুধু তাই নয়, এই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিতও মিলেছিল নগরপালের বক্তব্যে। তদন্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়, এমন বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নগরপালের ইঙ্গিত ছিল, আসলে মহিলার বক্তব্য অসত্য এবং এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। কিন্তু তদন্তের ক্ষেত্রে এই চাপ বিপথু করেনি গোয়েন্দাদের।
১৯৯৬ সালের আইপিএস এবং বর্তমানে ডিআইজি পদমর্যাদার এক মহিলা অবিচল থেকেছেন নিজের কাজে। কলকাতা পুলিসের যুগ্ম নগরপাল অপরাধ, দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার থেকে একটানা রাতভর কাজ করেছেন গোয়েন্দাদের একটি দল। ছিলেন ডিসি ডিডি স্পেশাল মুরলীধরও। প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের যাবতীয় চাপ উপেক্ষা করে তাঁরা আসল সত্যটা প্রকাশ করেছেন। তবে এই প্রথম নয়, সাম্প্রতিককালে একের পর এক ঘটনায় নিজের এবং সহকর্মীদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান দময়ন্তী সেন।
ভিআইপি রোডের ওপর একটি পানশালা থেকে বেরিয়ে ভোর রাতে সল্টলেকের কাছে গাড়ির মধ্যেই খুন হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। ঘটনার পর অত্যন্ত দ্রুত সেই মামলার কিনারা করে গোয়েন্দা দফতর।
উল্টোডাঙায় শান্তি নিবাসে ডাকাতি করতে এসে অপরাধীরা খুন করে এক বৃদ্ধাকে। সেক্ষেত্রেও যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়।
সল্টলেক থেকে শাটল গাড়িতে ওঠার পর চালেকর হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন এক তরুণী। কোনও কিছুই ঠিক করে বলতে পারেননি সেই মহিলা। কিন্তু তিন দিনের মধ্যেই সেই গাড়ি ও চালকের হদিশ করে দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।
পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে অন্যগুলির তুলনায় অনেক বেশি বাধার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু তদন্তকারীদের দক্ষতায় সত্য বেরিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীত তথ্য প্রকাশিত হতেই তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। তদন্তের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর নগরপাল যেভাবে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাতেই এই সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।