রাজারহাটে বাম জমানায় নিয়মের ফাঁক গলে গরীবদের ফ্ল্যাট বিত্তশালীদের দখলে!
নিয়ম ছিল। নিয়মের ফাঁকও ছিল। অভিযোগ, সে নিয়মের ফাঁকেই বাম জামানায় রাজারহাট নিউটাউনে গরীবদের ফ্ল্যাট দখল করে বসেছেন বিত্তশালী ব্যবসায়ী। চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।রোজগার কোটি কোটি টাকা। সে ব্যবসায়ীই আবার বাসিন্দা সরকারি এলআইজি আবাসনের। তবে তাঁর সাফাই, সবটাই নিয়ম মেনেই হয়েছে।
ব্যুরো: নিয়ম ছিল। নিয়মের ফাঁকও ছিল। অভিযোগ, সে নিয়মের ফাঁকেই বাম জামানায় রাজারহাট নিউটাউনে গরীবদের ফ্ল্যাট দখল করে বসেছেন বিত্তশালী ব্যবসায়ী। চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।রোজগার কোটি কোটি টাকা। সে ব্যবসায়ীই আবার বাসিন্দা সরকারি এলআইজি আবাসনের। তবে তাঁর সাফাই, সবটাই নিয়ম মেনেই হয়েছে।
এটাই কী ছিল নিয়ম? দুহাজার আট সালে সংস্থার দেওয়া ব্রোশিওরে বলা হচ্ছে, মাসে ছয় হাজার টাকা আয় হলেই এলআইজি ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করা যাবে। ওয়ান বেডরুমের এই সব ফ্ল্যাটের দাম ধার্য হয় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কোটিপতি ব্যবসায়ী আদিত্য টিবরেওয়ালের নামে এই ফ্ল্যাট বণ্টন হয়। শুধু আদিত্যই নয়, তাঁর বাবা সীতারাম টিবরেওয়াল ও ভাই শৈলেশ টিবরেওয়াল পেয়েছেন সরকারি আবাসনের এলআইজি ফ্ল্যাট।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শুধু একটি ফ্ল্যাট নয়। এরকম বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে কোটিপতিদের দখলে।
বাসিন্দারা বলছেন, খুঁজলে রাজারহাট-নিউটাউনে সরকারি এলআইজি ফ্ল্যাটের বেআইনি হস্তান্তরের বিস্তর প্রমাণ মিলবে। কিন্তু কেন সামান্য এলআইজি ফ্ল্যাট কিনলেন কোটিপতি ব্যবসায়ীরা?
অভিযোগ, এই ফ্ল্যাট বিক্রিকে কেন্দ্র করে রাজারহাট নিউটাউনে গড়ে উঠেছে নয়া সিন্ডিকেট রাজ। দালালচক্রে যুক্ত হাউজিং বোর্ডের আধিকারিকরাও।
চক্র যে রয়েছে, তা হয়ত অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায় সীতারাম টিবরেওয়ালের বক্তব্য থেকে। বিষয়টি নিয়ে আলাদা বসারও প্রস্তাব দিয়ে দিলেন তিনি।