গড়ফা-হরিনাভি সিরিয়াল মার্ডারের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, খুনের আগে রোহিনীর সঙ্গে শঙ্করের যৌনমিলনের সম্ভাবনা
পুলিসের হাতে এল গরফা-হরিনাভি হত্যাকাণ্ডের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। সোনারপুর থানায় এসে পৌঁছনো ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে অনুমান রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে খুন করা হয় পৌলমী ও অরিত্রকে। প্রথমে খুন করা হয় পৌলমীকে, তার ৫ মিনিট পর খুন করা হয় অরিত্রকে। অন্যদিকে, গোয়ান্দাদের মধ্যে অনুমান গরফায় হত্যালীলার আগে যৌনসম্পর্কে মিলিত হয়েছিলেন রোহিনী ও শঙ্কর। তবে গরফার ঘটনাক্রম নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছেন গোয়ান্দার। আজ দুপুরে ৩টি মৃতদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এসে পৌঁছলে জানা যেতে পারে ঘটনাক্রম।
গতকাল রাতে হরিনাভির ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার সুমিত চক্রবর্তী জানান রাত ১১টা নাগাদ তাকে ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে বেরিয়ে যান শঙ্কর। যার থেকে পুলিসের অনুমান ছিল রাত ১১টার আগেই খুন করা হয়েছিল পৌলমী ও অরিত্রকে। যা মিলে যাচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে। আজই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার সকালে হরিনাভির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা ও তাঁর ছেলের দেহ। জানা যায়, মৃতেরা পৌলমী ও অরিত্র কর্মকার। প্রমোটার শঙ্কর কর্মকারের স্ত্রী ও ছেলে। কিন্তু, ফ্ল্যাটে খোঁজ মেলেনি শঙ্করের। দুপুরে গড়ফার পূর্বাচলের একটি ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় শঙ্কর কর্মকারের দেহ। ওই ফ্ল্যাটেই পড়ে ছিল শঙ্করের প্রণয়ী রোহিনী চক্রবর্তী ও তাঁর মেয়ে ইয়াশির দেহ। দুই জায়গা থেকে উদ্ধার শঙ্কর কর্মকারের ছবি দেখে পুলিস সিদ্ধান্তে পৌঁছয় দুটি খুনের পিছনেই রয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, বুধবার রাতে প্রথমে হরিনাভিতে স্ত্রী পৌলমী ও ছেলে অরিত্রকে খুন করে শঙ্কর। রাতেই হরিনাভির বাড়ি ছেড়ে পৌছে যায় গড়ফার ফ্ল্যাটে।