প্রণবের জয়ে উত্সব বিধানভবনে
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জয়ের খবরে সবুজ আবিরে ঢেকে গেল বিধানভবন চত্ত্বর। ডান-বাম দুই পক্ষ মিলে বঙ্গসন্তানকে পৌঁছে দিল রাইসিনা হিলে। এরাজ্য থেকে মোট ২৭৫ জন বিধায়কের ভোট পেয়েছেন প্রণব মুখার্জি। ৩ জল বিধায়কের ভোট গেছে এনডিএ প্রার্থী পি এ সাংমার পক্ষে।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জয়ের খবরে সবুজ আবিরে ঢেকে গেল বিধানভবন চত্ত্বর। ডান-বাম দুই পক্ষ মিলে বঙ্গসন্তানকে পৌঁছে দিল রাইসিনা হিলে। এরাজ্য থেকে মোট ২৭৫ জন বিধায়কের ভোট পেয়েছেন প্রণব মুখার্জি। ৩ জল বিধায়কের ভোট গেছে এনডিএ প্রার্থী পি এ সাংমার পক্ষে। ভোটজয়ের আনন্দে মাতলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। চলল দেদার মিষ্টিমুখ, শুভেচ্ছা বিনিময়। তবে তার মাঝেও কোথাও যেন বাজছে বিষাদের সুর। বিপদে আপদে, জটিলতায় আর মিলবে না প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ।
রাজ্য থেকেই শুরু রাজনৈতিক জীবনের। দীর্ঘ ১০ বছর ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রবিবার সকাল থেকেই তাই প্রদেশ কংগ্রেস অফিস বিধানভবনে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে ছিল অন্যধরনের উন্মাদনা। রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্যায় জয়ী ঘোষিত হতেই আনন্দের বাঁধ ভাঙল। এই প্রথমবার রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হচ্ছেন কোনও বাঙালি। কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস তাই ছিল বাঁধনহারা। প্রণব মুখার্জির জয়কে বাংলার জয় হিসেবেই দেখছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপিত প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রণববাবুর জয় ঘোষণা হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আরও উত্সবের পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৫ জুলাই দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন প্রণববাবু। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেস নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সকাল থেকেই বিধানভবনে ছিলেন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এক ব্যক্তি। এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বাসিন্দা পার্থ দাস এসেছিলেন তাঁর রঙ তুলি নিয়ে। ভোটগণনার সমস্ত সময়টা তিনি ব্যস্ত রইলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পোর্টেট আঁকতে। ছবিটি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।