Primary TET Qualifiers Agitation: নট-ইনক্লুডেডদের ইনক্লুড করুন, চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার করুণাময়ী
Primary TET Qualifiers Agitation: নতুন পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন বিক্ষাভকারীরা। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি দুর্নীতি করে অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন। আর যোগ্য হয়ে আমরা চাকরি পাব না কেন?
রণয় তেওয়ারি: চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার সল্টলেকের করুণাময়ী। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড প্রার্থীরা এদিন জড়ো হয়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের পুলিস বাধা দেয়। তখনই করুণাময়ীতে বসে পড়েন তাঁরা। এনিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে। প্রবল রোদে অসুস্থও হয়ে পড়েন কয়েকজন। চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এক আন্দোলনকারী বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। পর্ষদ সভাপতি হাওয়ার পর গৌতম পাল আজগুবি তথ্য দিচ্ছেন। আমরা ৬-৭ হাজার নট ইনক্লুডেড প্রার্থী রয়েছি। আর উনি বলছেন ১৬ হাজার প্রার্থী রয়েছে। উদ্দেশ্য হল অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া। বারবার এক দফতর থেকে অন্য দফতরে যাচ্ছি কিন্তু চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, এখান থেকে একচুলও নড়ছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। অযোগ্যরা ধরা পড়ছে। অথচ আমরা যোগ্য হয়ে চাকরি পাচ্ছি না। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখানে আরটিআই করে দেখা গিয়েছে ১৬ হাজারও নিয়োগ হয়নি। মানিক ভট্টাচার্য চুরি করে অনেক অযোগ্যকে চাকরি দিয়েছেন। আর আমার যোগ্য হয়ে কেন চাকরি পাব না!
সরকারের গড়িমসি নিয়ে এক আন্দোলনকারী বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। পর্ষদ সভাপতি হাওয়ার পর গৌতম পাল আজগুবি তথ্য দিচ্ছেন। আমরা ৬-৭ হাজার নট ইনক্লুডেড প্রার্থী রয়েছি। আর উনি বলছেন ১৬ হাজার প্রার্থী রয়েছে। উদ্দেশ্য হল অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া। বারবার এক দফতর থেকে অন্য দফতরে যাচ্ছি কিন্তু চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, এখান থেকে একচুলও নড়ছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। অযোগ্যরা ধরা পড়ছে। অথচ আমরা যোগ্য হয়ে চাকরি পাচ্ছি না। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখানে আরটিআই করে দেখা গিয়েছে ১৬ হাজারও নিয়োগ হয়নি। মানিক ভট্টাচার্য চুরি করে অনেক অযোগ্যকে চাকরি দিয়েছেন। আর আমার যোগ্য হয়ে কেন চাকরি পাব না!
প্রবল রোদে মধ্যে বসে থেকে অজ্ঞান হয়ে যান আলিপুরদুয়ার থেকে আসা পারমিতা নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিস। পাশাপাশি এপিসি ভবনের দিকে কেউ যাতে যেতে না পারে তার জন্য রাস্তা আটকে রাখে পুলিস। একইসঙ্গে পুলিস বারবার বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে উঠে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু অনড় বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, অনেক প্রতিশ্রুতি দেখালাম। কিন্তু চাকরি পাব কবে? এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, সরকার যদি আমাদের কথা না শোনে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। মৃত্যু মিছিল দেখবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হয় আমাদের নিয়োগ দিন নয়তো আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন।