ED in Calcutta HC: টাকা নিয়ে অনুমোদন ল-ফার্মাসি কলেজকেও! পার্থর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এরকম বিষয় আমাদের কাছে আদৌ চাঞ্চল্যকর বিষয় নয়। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, অনুমোদন থেকে চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। পার্থ ধরা পড়ে গিয়েছেন। মমতাকে ধরলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
বিক্রম দাস: টাকার বিনিময় শিক্ষকের চাকরির দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি ল কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্যও নেওয়া হয়েছে টাকা। একইভাবে টাকা নিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বহু ফার্মাসি কলেজকেও। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল ইডি। অভিযোগ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ফলে শিক্ষকনিয়োগ মামলার পাশাপাশি সাঁড়াশি চাপে পড়ে গেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন- রিয়েল লাইফে 'পুষ্পা'! রোগী সেজে অ্যাম্বুল্যান্সে পাচারের ছক, উদ্ধার ৫০ কেজি মাদক
বুধবার ভার্চুয়ালি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। এদিন ইডি আদালতে দাবি করে টাকার বিনিময়ে বেসরকারি ল কলেজ ও ফার্মাসি কলেজকে এনওসি দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওইসব নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বিপুল টাকা তোলা হয়েছে বলে দাবি ইডির। এর পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজস অত্যন্ত স্পষ্ট। গত ১৪ দিনের তদন্তে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অন্যদিকে, আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে এতটা সময় কেন লাগছে। তখন ইডির তরফে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়। কোনও ডাকাতি হয় তাহলে অপরাধীদের ধরা সহজ। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রে যদি ডাকাতির টাকা কেউ নিয়ে পালিয়ে যায় বা দেশ ছেড়ে চলে যায় তাহলে তার তদন্ত সময় সাপেক্ষ। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে। তাই এটা ধরা খুব একটা সহজ নয়।
এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান, এমন কী তথ্য প্রমাণ রয়েছে যার ভিত্তিতে বলা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিপুল টাকা নিয়ে ল কলেজ ও ফার্মাসি কলেজের অনুমোদন দিয়েছেন? ওই প্রশ্নের জবাবে ইডির আইনিজীবী একটি নথি তুলে দেন বিচারকের কাছে এবং অনুরোধ করেন বিষয়টি যেন গোপন রাথা হয়। কারণ ওইসব তথ্য প্রকাশ্যে চলে এলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটবে। ওইসব দুর্নীতির জন্য যে টাকা তোলা হয়েছে তা বিভিন্ন জায়গায় জমিয়ে রাখা হয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নতুন এই অভিযোগ নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এরকম বিষয় আমাদের কাছে আদৌ চাঞ্চল্যকর বিষয় নয়। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, অনুমোদন থেকে চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। পার্থ ধরা পড়ে গিয়েছেন। মমতাকে ধরলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এনিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, টাকার বিনিময়ে শুধু চাকরি নয়, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি এইসব ল কলেজ, ফার্মাসি কলেজ, বিএড, ডিএলএড কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। চারদিকে বিপুল টাকা উদ্ধার হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছিল না কোথা থেকে এই টাকা আসছে। সেগুলো এবার সামনে আসছে।