সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে উত্পাদন বন্ধে অশনি সঙ্কেত দেখছেন কর্মীরা
বয়লার অচল, বন্ধ উত্পাদন, চক্রান্ত দেখছেন সেন্ট্রাল ডেয়ারি কর্মীরা!
বয়লার অচল, বন্ধ উত্পাদন, চক্রান্ত দেখছেন সেন্ট্রাল ডেয়ারি কর্মীরা!
এমনিতেই ধুঁকতে থাকা সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে শুক্রবার থেকে উত্পাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার কর্মী। তাদের অভিযোগ, রুগ্নতার পথে ঠেলে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেবার চক্রান্ত চলছে সেন্ট্রাল ডেয়ারি। বিষয়টি নিয়ে দলমত নির্বিশেষে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবার কথা ভাবছেন কর্মীরা।
মূলত কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় সরকারি দুধের যোগান দেয় বেলগাছিয়া সেন্ট্রাল ডেয়ারি। ১৯৬২ সালে তৈরি হওয়া এই ডেয়ারির উত্পাদন ক্ষমতা দৈনিক সাড়ে তিন লক্ষ লিটার। এক সময় এখানে তৈরি হত গরুর দুধ, ডবল টোনড দুধ, হরিনঘাটা স্পেশাল দুধ এবং জনতা দুধ। ১০টি সুরভী কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ হিমায়িত করে তা বিতরণেরও ব্যবস্থা ছিল। সে সব এখন অতীত। ৩টি বয়লারের ২টি প্রায় পাঁচ বছর ধরে খারাপ। সবেধন নীলমনি একটি মাত্র বয়লারে দৈনিক ৪০ হাজার লিটার দুধ উত্পাদন চলছিল। সেটি খারাপ হওয়ায় শুক্রবার থেকে উত্পাদন সম্পুর্ণ বন্ধ। হরিনঘাটা এবং ডানকুনি থেকে সরকারি এবং মাদার ডেয়ারির দুধ এনে তা প্যাকেজিং করে শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল, জেল ও অন্যান্য জায়গায় সরবরাহ করাটাই পনেরোশো কর্মীর এক মাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি বয়লার মেরামতির খরচ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। তিনটি বয়লার মেরামতির মাত্র সাত লক্ষ টাকা দিতে নারাজ অর্থ দফতর। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরও উদাসীন। ঘটা করে বসিয়ে রাখা অতিরিক্ত দুগ্ধ কমিশনার সোমদত্ত দলুইয়ের হাতে কার্যত সই করার ক্ষমতাও নেই। গত ছ`মাসে এক বারও সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে পা রাখেননি ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নূরে আলম চৌধুরী। উত্পাদন বন্ধের ফলে তাই অশনি সঙ্কেত দেখছেন কর্মীরা।